বিরহ অবকাশ !
———
-রমেন মজুমদার,
হাতখানা দেখি,
শিরদাঁড়া বেয়ে অস্তিত্ব যাচ্ছে ছুটে
টের পাচ্ছ কি ?
থমকে দাঁড়াও দেখিনি,
আমি গোছগাছ হয়ে নিচ্ছি তোমার জন্যে
একবার হাতে হাত রাখো
অনুভূতি টের পাবে শিরায় শিরায়।
তোমার আমার মধ্যবর্তী যুগে
জন্মান্ধ চারচোখ বিশ্বখানা চির অন্ধকার
দেখতে পায়না অন্ধকারে কিছুই
অন্তর অনুভূতি দিয়ে
একবার বুঝে নাও;
আমার মস্তক থেকে নেমে গেছে কুন্তল ধারা
তোমার স্পর্শ করে নিবিড় অন্ধকারে।
তুমি টের পাবে হাড়ে হাড়ে একদিন
সেদিন হয়তো থাকবোনা রাত্রির কোল ঘেঁষে ?
মাটির নিশ্চল মূর্তি দহিত হবো
তোমার অগ্নি বলয়ে
যৌবনের বাঁকা পথে !
পথ চলতে চলতে হাতড়ে খুঁজি তোমায়,
ঠোঁট কাঁটা গালে এঁকে দেই রক্তিম চুম্বন !
গন্ধব কবক্ষে রাখি ওষ্ঠের ওপর ওষ্ঠ !
খুঁজে ফিরি দুই বাহু
পক্ক নিশিথিনী ফল !
কমনীয় পথ মিলে ক্লান্তির বক্ষে ।
রমণীর বক্ষ জুড়ে অগাধ সমুদ্র !
খুঁজে ফিরি সাঁতারের কিনারা তার থাইনদে,
নীলসুখে সুখান্বিত ডান বামে
দ্রোহের অগ্নি জলে
জ্বলে যায় পুড়ে যায় শেষের ঠিকানা
একবার টের পাবে বক্ষে দাও হাত
পরান ডিক ডিক করে
হৃদপিণ্ডের বিরহ অবকাশ।