“সংগ্রামী মানুষ”
________মিনু আহমেদ।
জীবনের প্রতিটি পদে পদে সংগ্রাম করে চলেছি—
কিন্তু আজ পর্যন্ত কেনো সাফলতার দেখা পাইনি।
আর তা কখনো অর্জন করেছি বলেও মনে হয় না।
নানামুখী সংগ্রামের মাধ্যমে আজও জড়িত!
জানি,আমার এই সংগ্রাম কোনোদিন ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না।
কেনো পাথরে গায়ে খোদাই করে ভাস্কর্যের নামে কখনো মূর্তিও হবো না!
তবুও তো সর্বদা সংগ্রামী মানুষ হয়েই বেঁচে আছি।
—হয়তো এটাই জীবনের স্বার্থকতা।
সংগ্রাম আমাকেই করতে হয়—কখনো পথের সন্ধানে।
কখনো জীবনের সুখ-প্রশান্তির সন্ধানে।
মাঝে মাঝে ভাবি, সংগ্রামের এই খণ্ড খণ্ড অনুভূতিগুলো হয়তো পথের পাঁচালী মতো সাহিত্যের পাতায়ও লিখা থাকবে না!
তবুও চেষ্টা করি রোজ—জীবনের অনুভূতি থেকে কিছু না কিছু লিখে রাখতে।
আমি বিশ্বাস করি—আমার লেখা হয়তো কারো চোখে অশ্রু ঝরাবে না।
কারণ,আমার কলম এতো তীক্ষ্ম ও শক্তিশালী নয়—যে যুক্তিতর্ক দিয়ে উপস্থাপন করবো।
আমি এমন জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী নই!
তবুও কলম আর কাগজের বুক চিরে লিখে যাবো জীবনের ইতিহাস।
তাইতো—জিজ্ঞেস করি মনের কাছে —আমি কে?
উত্তরে—সমুদ্রের বিশালতায় নিজেকে খুঁজে দেখি,
আকাশের অসীম সীমানায় নিজেকে জড়িয়ে রাখি,
আর হিমালয়ের দুর্গম উপত্যকায় অদ্ভুত মানব হয়ে খুঁজে ফিরি—সভ্যতার ইতিহাসে কেউ কি আছে আমার মতো!
যে—আমাকে বুঝবে।আমাকে খুঁজবে।আছে কি কেউ?
দীর্ঘ শ্বাসের অন্তরালে উত্তরটা বার বার হারিয়ে ফেলি…..