সরোবরে_ভেসে।
রত্নপ্রভা_গাঙ্গুলী
নিদ্রালস আঁখিতে শিহরন ,
আর্ত করুণার ভেসে আসা ক্রন্দন ।ধ্যানস্থে শীৎকারে ব্যাঘাত ,
জাগরিত চন্দ্রিমার পাশে রাতের পর রাত।
এপার-ওপার ছেয়েছে ধূসর ,
কম্পিত কেন ক্ষণে ক্ষণে ভূধর ।
মেঘ কে বলি ওপারে কি বেঁধেছিস জালে?
টানাবোনায় সুতোয় গ্রন্হি নালে নালে।
প্রশ্ন করে যাই একে একে সাজাত্য ঋতু রাজ কে,
অধিরথে মারিয়ে লন্ডভন্ড কেন বাঁকে বাঁকে।
চঞ্চল স্বর্গ্য লোক ভূধরে ধ্বংসিত স্তূপ স্তূপে,
অনলে গোমট প্রভাকর দগ্ধতায় উত্তাপে।
প্রেয়সীর আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে অশ্রুকণা ,
শিশুরা দাঁড়িয়ে হাত পেতে খুঁজছে একটু দানা।
অগ্নি শিখায় নীলাভে ধূসরিত চাদর,
ঈশানে গেঁটে বেঁধেছে বৈশাখী ঝড়।
আঁধারে আঁধারে নিকশ কালিমা ,
খুনসুটি ছেড়ে দু মুঠো ছড়াও আবির রক্তিমা।
আলোকিত হোক সিঁদুর আভায়,
ফুল পুষ্প সাজিয়ে দেব চরণায়।
কৈলাসবাসিনী দেখবে বসে বসে,
মায়ের কোলে শিশু টি হেঁসে ।
সন্ধ্যায় দীপ ভাসাবে দু হাতে,
জ্যোৎস্নায় মেখে আসবে সরোবরে ভেসে।