বহুবার হারিয়েছি নিজেকে দৃষ্টির সীমানায়
রোজিনা রুমি
বহুবার হারিয়েছি নিজেকে আমি
দু’চোখের লোনা জলে
স্মৃতির অতলে সুখ হাঁতড়ে খুঁজেছি তোমার মুখ
সমুদ্রের জলে সদ্যচ্ছিন্ন ঢেউদল
অধরে ভালোবাসা আর বুকের গহীনে লুকায়িত যন্ত্রনার সঞ্চয়,
বহুবার নিজেকে হারিয়েছি আমি তোমার অকাল প্রস্থানে
যেমন আজও হারাই তোমার অশরীরী হৃদয়ে।
জানিনা কতটা অনুভব করো তুমি সাড়ে তিনহাত কামড়ায়,
প্রতিটা রাত নির্ঘুম আমার, প্রতিটা ক্ষণ নিরুত্তাপ,
কখনো শেষ রাতের তন্দ্রাচ্ছন্নে –
দু’ ঠোটের স্পর্শে তোমার আঁখি যুগল,
কপোলের ঠিক মাঝখানে চুম্বনের অনুভূতি
মুখচ্ছবি বিহীন উজ্জ্বল হাসি
থর থর করে সোডিয়াম বেড়ে,
রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে শিরায় উপশিরায় বেয়ে যাক,
কার্ডিয়াক আবার সচল হোক
কিংবা আমার কোমল স্পর্শে
জেগে উঠুক তোমার মস্তিস্ক।
আবার আমি ফিরে পেতে চাই, মিলাতে চাই জীবনের না কষা হিসাব।
জানোনা তুমি হেমন্তের শেষ বিকেল এখনও তোমার উপস্থিতি খুঁজে,
চারদেয়ালের গহন তিমিরে শিকড়ের অনুরণন ছাড়া
আমার আর কোন কাজ নেই।
আজ আমি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া একজন,
নতুবা অবসর প্রাপ্ত একজন কর্মী
অস্থির দাবানলে পুড়া দূর্বিসহ দৃশ্যপট।
বহুবার নিজেকে হারিয়েছি আমি শ্রাবণের মেঘে
যেমন আজও হারাই হেমন্তের শেষ বিকেলে
নিয়তি না মেনে বহুবার খুঁজেছি সেই হিমেল মৃত্যু,
নীরদ আঁধারে ঢেকে নিয়ে গেছে জীবনের সব আলো।