কখনো তোমায়
————–সেক জাহেদ উল্লা ।
কখনো তোমায় দেখেছি হাসতে জ্যোৎস্নালোকে ,
আবার কখনো রাতের আঁধারে –
একমাথা কালো চুলে – তারার সমাবেশে ।
কখনো আচমকা তাকিয়ে দেখেছি ,
ক্রীড়ারত উলঙ্গ শিশুকে তোমার কোলে ।
কখনো দেখেছি তোমার বুকে – গভীর আবেশে ,
ঘুমিয়ে থাকা ক্লিষ্ট মানবেরে ।
কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে তোমায় দেখেছি –
চেনা সুর গাইছ তুমি গুনগুনিয়ে ।
ছুটে আসে হাওয়া তোমার আঁচল উড়ায়ে –
নূপুরের ধ্বনি শুনি তাতে ।
কখনো তোমায় দেখেছি ,
হাস্যময়ী , চঞ্চলা চপলা নারীর রূপে –
আবার হঠাৎ ই কোনো অজানা ক্ষণে –
উন্মাদিনী, বিভীষিকা , মত্ত রূপভার লাঘবে ।
তোমাকে কত রূপেই না দেখেছি !
তুমি যে ঠিক কি , ঠিক ঠিক জানিনা ।
তুমি কুয়াশা ঢাকা সকাল ,
তুমি দুরের হাতছানি – মরীচিকা ,
আবার তুমি মেঘে ঢাকা তারা ।
তুমি বিশ্বরূপা , চির বিস্ময় কুহেলিকা –
তুমি আমার চোখে সীমাবদ্ধ অসীমা ।।