হাড়ি
জুয়েল কান্তি বর্মন
এক খানি বাসন তুই, গরীবের হাড়ি,
সাথে কিছু ছাতু চাল, থাকিস পুড়া বাড়ি;
মাঝে মাঝে রাধে তো’তে, কভু ভুলে ভাবি,
অভাবের খাবার খাস, মিলে বেটে সব-ই।
আমি দেখ আছি ভারি, ধনীর হাড়ি ,
প্রতিদিন খাসা খাবার, বড়ো মোর বাড়ি ;
মাংস পোলাও সহ মিঠাই রকমারী,
রাধে সবই মোর মাঝে, খাই পেট পুরি।
সহসা হাসিয়া কহে গরীবের হাড়ি,
কেন এতো গর্ব তোমার, বুঝতে না পারি;
ধনীর হাড়ির কভু-কোনো, হিসেব নাহি আছে ,
আজ রাধে যা’তে তারা, কাল ফেলে পাছে।
জেনে রেখো আমি তাহার একটি মাত্র হাড়ি ,
আমার মূল্য কতো, দেখো ভাবি ভারি !
মুনিব মম রাধে বাড়ে, নিজ হস্থে ধরি,
দিন প্রতিটায় স্পর্শে মোকে, আমার অংশীদারি।
ম্লান করে মুখ বলে হাড়ি, সত্যি কথা তোর,
বটে ধনীর বাড়ির হাড়ি আমি, দুখ্-টা বড়ো মোর;
চাকর বাকর রাধে বাড়ে, অনন্তকাল ধরে;
মুনিব কভু ভুলেও আমায় স্পর্শ নাহি করে।
এ কেমন ধারা বিচার বিধি, কেমন মুনিব ওনি!
স্পর্শ বুঝি করলে মোকে , নেবে শমণ শুনি?
হেন কালের বন্ধু আমার, গরীব হাড়ি জ্ঞানী ,
মনিব তুমার গরীব বটে, অনেক দামি তিনি।