“হাড়ি” কবিতাটি লিখেছেন ওপার বাংলার কবি জুয়েল কান্তি বর্মন

782
Doinik-Alap-Poem-Kobi-কবি-X-Kobita-কবিতা-হাড়ি
কবি জুয়েল কান্তি বর্মন

হাড়ি

জুয়েল কান্তি বর্মন

এক খানি বাসন তুই, গরীবের হাড়ি,
সাথে কিছু ছাতু চাল, থাকিস পুড়া বাড়ি;
মাঝে মাঝে রাধে তো’তে, কভু ভুলে ভাবি,
অভাবের খাবার খাস, মিলে বেটে সব-ই।

আমি দেখ আছি ভারি, ধনীর হাড়ি ,
প্রতিদিন খাসা খাবার, বড়ো মোর বাড়ি ;
মাংস পোলাও সহ মিঠাই রকমারী,
রাধে সবই মোর মাঝে, খাই পেট পুরি।

সহসা হাসিয়া কহে গরীবের হাড়ি,
কেন এতো গর্ব তোমার, বুঝতে না পারি;
ধনীর হাড়ির কভু-কোনো, হিসেব নাহি আছে ,
আজ রাধে যা’তে তারা, কাল ফেলে পাছে।

জেনে রেখো আমি তাহার একটি মাত্র হাড়ি ,
আমার মূল্য কতো, দেখো ভাবি ভারি !

মুনিব মম রাধে বাড়ে, নিজ হস্থে ধরি,
দিন প্রতিটায় স্পর্শে মোকে, আমার অংশীদারি।

ম্লান করে মুখ বলে হাড়ি, সত্যি কথা তোর,
বটে ধনীর বাড়ির হাড়ি আমি, দুখ্-টা বড়ো মোর;
চাকর বাকর রাধে বাড়ে, অনন্তকাল ধরে;
মুনিব কভু ভুলেও আমায় স্পর্শ নাহি করে।

এ কেমন ধারা বিচার বিধি, কেমন মুনিব ওনি!
স্পর্শ বুঝি করলে মোকে , নেবে শমণ শুনি?

হেন কালের বন্ধু আমার, গরীব হাড়ি জ্ঞানী ,
মনিব তুমার গরীব বটে, অনেক দামি তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here