ভারত থেকে নিমাই জানার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধারার একটি দীর্ঘ কবিতা “পিথাগোরাসওপঞ্চম লিঙ্গের ঘোড়াটি রবাব বাজাচ্ছে”

367
নিমাই জানার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধারার একটি দীর্ঘ কবিতা “পিথাগোরাস ও পঞ্চম লিঙ্গের ঘোড়াটি রবাব বাজাচ্ছে ”

পিথাগোরাস ও পঞ্চম লিঙ্গের ঘোড়াটি রবাব বাজাচ্ছে

নিমাই জানা

স্ত্রী লিঙ্গের সব অঙ্কন প্রণালী ফেলে পিথাগোরাস একদিন আমাদের শিরদাঁড়ায় অসংখ্য চরম মানের পাহাড় থেকে ছিদ্রাল গ্রানাইট বের করবেন ধ্বজভঙ্গ পেরিফেরাল ধনুক বৃন্ত দিয়ে

বাড়ির চারপাশে সব ধনুর্বাণেরা একপক্ষ কালের জন্য নিষিদ্ধ সহবাস ফেলে রসায়ন রঙে জলে ডোবানো লিটমাস শাড়ি পরে নেবে আদ্যশ্রাদ্ধের অবকাশ কালে
তিনদিনের অশৌচ শরীর দেবালয়ের ভেতর থাকা মায়াচ্ছন্ন সমতল ছবিগুলোর অক্ষয় ক্ষেত্র গড়ে তুলবেন অগ্নি ঋষি
আমাদের তখন মূলদ সংখ্যার অন্তর্বাস পরিহিতা অসংখ্য সামুদ্রিক নারীরা মৎস্যগন্ধার সহবাস নিয়ে মৃত্যুকে রোপন করে যাবে মন্থকূপের তলদেশ বরাবর , আমাদের ৫১ দফা পঙক্তি ভজন আছে

জাহ্নবী শরীর রেখেছেন আদিগন্ত চতুর্ভুজ রঙের ব্রহ্মার অজানু অন্তরীক্ষ
একটি শাড়ির ভেতর থেকেই মহাকালের হাতগুলো উপনদী খুঁজছে তরল পাতার মতো নিরাপদ নিয়ে
আমি পেন্ডুলামের নিচে ঝুলে থাকা শাখা নদীর তল পেট কুরে কুরে খাচ্ছি প্রাচীন জনপদ হয়ে ,
কঙ্কাল খুঁড়লেই প্রতিটি ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসে দীর্ঘ প্রক্রিয়াজাত অসুখ , শ্যামলা রঙের দরজার পাশে এক নিশাচর দাঁড়িয়ে থাকে ভূগোলক সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য

আমার স্তনবিন্দুতে তৃণভোজী প্রাণীরা ছায়া ফেলে যাচ্ছে দৈর্ঘ্যহীন তিন কাশ্যপ মুনির মতো
বড় ভালোবেসে ফেলেছি মৃদু ভূকম্পনের মতো ধারালো দাঁতের কোন অসুখ বিসুখ
ঈশ্বর মন্থকূপ থেকে ঘুরে এলেন পিচ্ছিল শরীর নিয়ে
প্রাচীন জলাশয়ের তীরে মৃত্যুর গা থেকে দুটো বনজ সম্পদ রোপন করে রেখে দেব অস্থিসন্ধির মূলরোম
লাল রঙের মাংসাশী দাঁতগুলো ক্রমে আরো গাঢ় হয়ে উঠবে গোখরো ডিমের কাছে

জমে থাকা বিষধর ক্ষেত্র হয়ে আমি অসংখ্য লবণাক্ত চাল দানার কাছে অতন্ত্র পাহারায় বসে আছি কিছু ষড়ভূজ পাখিদের জন্য
ইলোরা মহানগরীর প্রতিটি পাতার নিচে একটি শুঁয়োপোকার আদি বাসস্থান রাখা আছে , সকলেই যতি চিহ্নের মতো ধারালো পান্থপাদপকে ভয় করে
অষ্টম রিপুর একটি ব্যবচ্ছেদহীন ট্রাপিজিয়াম ঘুমিয়ে থাকে আমার চারকোল সন্তানের কাছে
প্রতিদিন আমি কালো রঙের মেসোপটেমিয়া বৃক্ষদের ধ্বংসাত্মক মিশর কথা রাখি বিষহীন দাঁতের গোড়ায়
কিছু বিষুবরেখার গলনাঙ্ক নির্ণয় করবে হলুদ কাঁকড়াবিছা

পাখির ঠোঁটের মতো নির্ঝর প্রান্ত নিয়ে কঙ্কালেরা প্রাচীর ভাঙ্গা নৌকার গোলাপি অন্তর্বাস রেখে যায় বিমুগ্ধ নারীর দরজার পাশে, এককোষী রোদের মতো লিঙ্গ খুলে দেখে যায় আমাদের মূলদ সংখ্যার প্রাচীন বিভাজিত বলাই পুরোহিত
আমাদের অগ্ন্যাশয়ের তলায় কালো নিকোটিন সমৃদ্ধ পায়াসান্ন নির্মাণ করবেন কোন রোহিণী নারী
আমাদের কোন মৃত্যুবার্ষিকী ছিল না বলেই এক সন্তান আজও আমাদের পিণ্ড দিয়ে চলে যায় ঘোড়াটির মত
বাবার বিছানার নিচ থেকে অসংখ্য সরলবর্গীয় চারাগাছ বের করে রোপন করি শুকনো কিসমিস , লজ্জাবতীর তলায় আপেল বৃক্ষের সঙ্গম শব্দগুলোই মহাজনপদের পায়ের তলা থেকে গ্রীষ্মকালীন ভর শূন্য ছায়া গুলো ১৯ টি কাটা মুন্ডুর প্রণয় কথা শেখাবে সাদা দলমন্ডল দিয়ে

জোনাকির সোডিয়াম অসুখ গুচ্ছ তুলে নিয়ে আসবেন ইলোরার মহেশ্বর ক্ষেত্র
অঙ্গানুর উপাঙ্গ প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা নপুংসক দরজার মতো সব আয়না গুলোই আজ মহাকোশলের মুখ ভেঙ্গে ফেলেছে
আমি তাদের প্রতিবিম্ব স্থানে একটি অবৈধ গর্ভপাত বিন্দু রেখে আসি আমার জিভের জন্য , রক্তাল্পতা নারীরাই একগুচ্ছ কংক্রিট সাপ রেখে দিতেই শিকড়হীন জামাটি একদিন আত্মহত্যা করবে
কেশর যুক্ত পরাশ্রয়ী চারাগাছের তলায়
আজ আর জড়িয়ে ধরছে না অন্তঃস্থ বর্ণের ভেতর থাকা এন্ডোপ্লাজমিক নারী চক্রদের মধ্যমা , কিছু সমর্পণ কথা রেখে যেতে হয় দ্রাবকহীন তৃণভোজী মানুষদের জন্য

মা এক প্রাচীন বাটিক প্রিন্টের শাড়ি ধরে নিরালা ক্ষেত্রে নিয়ে যাবেন ১৩জোড়া নাভিকুণ্ডলী হাতে নিয়ে
সব অন্তর্বাসই ঢিলেঢালা অথচ আলপথের নিচে রাখা একগুচ্ছ ডিম্বাণুর পরাগ রেখে আসার পর বাবা কখন হঠাৎ করেই আদিম মহাপুরুষ হয়ে গেছে
আমি কিছু যৌন চিহ্নের পাশে জোড় কলমের ক্ষার সূত্র দিয়ে বেঁধে ফেলবো আমাদের শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির উপসর্গ দোষ
শুধু একটি শরীরের নিম্ন অঙ্গাণুতে কিছু রঙ্গিন ডায়াস্টোলিক উপসর্গগুলো রোপন করবে একগুচ্ছ অঙ্কুরোদগমের শিরদাঁড়া, বীজগণিতের প্রতিটি পৃষ্ঠায় এক দলা পাকানো রক্তের গর্ভপাত রেখে যাবে আদিম রাত্রির জন্য
এক ঈশ্বর মাঝে মাঝে পদ্মাসনে বসে আমাদের প্রলয় দৈর্ঘ্যের বিভূতি মাখিয়ে যাবেন নৈঋত অযোগবাহ দিয়ে
সব তৃণভোজীরাই একটি আধিভৌতিক পুষ্কর বস্ত্রালয়ের নিরাভরণ পরিচ্ছদ গুলো মুখমন্ডলে রাখতেই একজোড়া বিশল্যকরণী পাখি উড়ে গেছে অমরাবতীর দিকে

পঞ্চকূট অরণ্যে থাকা পঞ্চম লিঙ্গের ঘোড়াটি একাই সর্বনাম পদ কুরে কুরে খাচ্ছে বিষাক্ত করবী ফুল দিয়ে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here