অবগাহনতত্ত্ব
সুজাতা দাস
রোদ্দুরের মিঠে স্বাদ বোঝার আগেই,
হঠাৎ একটু ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেয়
টানতে থাকলো মনটাকে-
তারপর————-
তারপর, হাত বাড়ানো
এবং প্রশান্তি ছড়িয়ে পরা,
শরীরের অনু পরমাণুতে-
ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছায় পা রাখা অনন্ত
শূন্যতার মাঝে,
অবগাহন একটু একটু করে-
হঠাৎ তোর ডাক!!
বিস্মিত আমি———
এক অদ্ভুত ভালোলাগা,
ফিরে চলা বেহিসেবি সময়কে পেছনে ফেলে
তোর হাত ধরার আশায়-
জানি, সময় খুব কম
হয়তো মাঝপথেই হবে শেষ এই চাওয়া,
যা শেষ পথের পাথেয় হবে-
তারপর———–
একসাথে গেয়েছিলাম জীবনমুখী গান
যা ছিল দুজনের পছন্দ,
হেঁটেছি অনেক অসমান্তরাল পথ,
শুনেছি স্রোতের ভাষা সাঁঝের আঁধারে
যা নিজেকেই চিনতে সাহায্য করেছিল-
সুখের ডেফিনিশন কাকে বলে
না জেনেই দুঃখ সাজিয়ে ফেললাম
একসময়,
সময় হারানো———–
ভাঙলো, একদিন বেনিয়মের বেড়া
সমান্তরাল নয় জেনেও পা বাড়িয়ে দেওয়া,
ডিঙোতে থাকা অনেক কথার পাহাড়!!
তবুও মন ভাসে স্বপ্ন ভেলায়
যেখানে বিঠোফেন আর মোৎযারটের সুরও
বিসমিল্লায় করুন হয়-
খুঁজতে ইচ্ছে করে অবগাহনে,
এলোমেলো হওয়া জিজ্ঞাসায়
অনেক অজানা প্রশ্নের খোঁজ,
সেই ছোট্ট বেহালায়-
যা একসময়ে আমাদের সাথী ছিল।।
কপিরাইট@1443 সুজাতা