তারুণ্যের কবি-কয়েছ চৌধুরীর কবিতা “আমি রক্তাক্ত ”

308
তারুণ্যের কবি- কয়েছ চৌধুরীর কবিতা“আমি রক্তাক্ত ”

আমি রক্তাক্ত
কয়েছ চৌধুরী

বহিরা রুদ্ধের ধ্বংশনে আজ আমি রক্তাক্ত।
আমি ক্লান্ত-আমি দিশেহারা।
তাদের স্বপ্নকে ঘিরে কেন মোদের বাস্তবতা।
মোদের কি নেই-কোন আপন প্রান্তর
যেখানে নিজ হাতে গড়তে পারি মোরা-
সাম্য বাঁধের ঘর।
বাবার চোখের সামনে মেয়ের
স্বামীর চোখের সামনে স্ত্রীর-
ভাইয়ের চোখের সামনে বোনের
ইজ্জত লুট করতে না দেখার প্রয়োজনে।
আপন ভূমির প্রান্তে না থেকে ঘুমিয়ে-হে যুবক।

কেন তুমি আপন ভূমিতে না গুছিয়ে ফুল
অন্য মনে স্নেহের কলতানে-
মুগ্ধ হয়ে বোবার মতো চেয়ে থাক!
নগ্ন বেসে চলা এমন নারীর প্রান্তে
ভালোবাসি বলে- লালসার টানে।
যা কখনো ভালোবাসা নয়।
তবে কি ————?
হয়তো বা ক্ষুধা নিবারণের চিহ্ন
না হয় আলিঙ্গনের এক প্রকার নমুনা।
কাছে টানার প্রয়োজনে।

হে নারী! তোমরা জাগো
আর না থেকে ঘুমিয়ে-
পূর্ব দিগন্তের সূর্যের লগ্নে
জাতি গঠনের লক্ষে-
আবেগ বসতি না হয়ে।
পুরুষ-কে সামনে রেখে
যথার্থ মূল্যায়নের ভিত্তিতে।

হে নারী! তুমি খেলনা নও
তুমি দোলনা ও নও-
নয়তো তৃষ্ণার জল
যে পানাহার করবে একাধিক পুরুষ।
তবে তুমি কি ———?
তুমি হচ্ছ- জাতি গঠনের স্রষ্টার দান একটা উপমা।
স্বামীর জন্য উপহার।
জাতি গঠনের হৃদপিণ্ড।
সেই তোমাদের রক্ত মাংসেই মোদের সৃষ্টি।
তোমরা-ই হচ্ছ জাতি গড়ার কারিগর।
হে নারী ——————-।

Content Protection by DMCA.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here