প্রাণের-মুজিব
নাসরীণজাহান রীণা
আমি দেখিনি তোমায় মুজিব
ছুঁয়েছি তোমার প্রজ্ঞা,
পূর্ববাংলার কোটি মানুষেরে
দিলে মুক্তি সংগ্রামের আজ্ঞা।
সংগ্রামী আহ্বানে সাড়া দিয়ে
যত কৃষক-শ্রমিক জনতা,
প্রাণ আর রক্ত ঢেলে
অর্জন করলো নতুন সবিতা।
সেই অঙ্গুলি সেই দিব্যজ্যোতি
দেখার সাধ যে ছিল,
দিলো না দেখতে কুচক্রিদল
অকালেই প্রাণ কেড়ে নিল।
আমার জন্মের আগেই গেছো
পারিনি দু’চোখ ভরে দেখতে,
স্বাধীন বাংলা রেখে গেছো বলে
আজ পারি কিছু লিখতে।
তোমার বজ্রকণ্ঠের হুংকারে
অন্যায় যেতো চলে,
একডাকেই সাড়া দিয়েছিলো
কেবল নিরস্ত্র বাহুবলে।
ছিনিয়ে এনেছো স্বাধীনতা সূর্য
পাকশাসকদের মুঠি থেকে,
এত অবদানের প্রতিদান পেলে
মৃত্যুকে অকালে ডেকে।
তোমার চোখে বাংলা দেখলে
সোনার বাংলা রূপে,
স্বপ্ন তোমার পতিত হলো
সপরিবারে মৃত্যুকূপে।
নিশ্চিহ্ন করতে চাইলো ওরা
কালো পোশাকি দূর্বৃত্ত,
ভেবে ভেবে অশ্রুসজল চোখ
ভারাক্রান্ত হয় চিত্ত।
ভাগ্যের ফেরে বেঁচে গেলো
তোমার দুই কণ্যা,
বাংলার মাটিতে তোমারি জয়গান
বিজয়ের বয় বন্যা।