আয়ু অধীতি
-নাছরিন আক্তার
ছুটির দিন মানেই
বাবার তর্জনী ধরে বাজারে যাওয়া
দোকানের সাজানো পসরা, পসরা জুড়ে তেষ্টা
বাবাকে তেষ্টার কথা বলতেই,
পথ চলায় মার্জনা হতো
ঝাল, টক, মিষ্টি মিলিয়ে আরও কতো কি অনাহুত।
বাবা কি করে জানতেন-
কি মুখে কিসে তেষ্টা মিটে যাবে?!
ঝরে গেছে সময়, বাবার তর্জনী ছোঁয়া ফেলে আসা দিনকাল।
একটু বড় হতেই
হাতে তুলে দিলেন ছোট বড় নীল-সাদা অক্ষরের জীবনচক্র
বললেন, পড়ে পাঠ-পরিক্রমা জানাবে
তখন গল্প বলতেই বুঝতাম সিনেমাতে দেখা
রঙিন ফ্রেমের সাদাকালো লেখা
আজ অবধি বড় হয়েই উঠলাম না;
বড় হওয়া মানে কি?
জন্ম থেকে রিটায়ারমেন্টের দলিল সমগ্র.!
অনুচ্ছেদ- ০২ এ ছিল,
পড়ার সময় লক্ষ্য করবে-
ঘটনা, সময়, প্রেক্ষাপট।
জীবনের পাঠই আর শেখা হলো না
পঁচিশ বছরের শায়িত বিছানায় তোমার গল্পপথ
আদৌ সমতল ছিলো না।
ওসব আর মনেও পরেনা খুব একটা,
পূর্বসূরি আর উত্তরসূরির আক্ষেপের
যে এক লাইনের বিষণ্ণতা বর্তমান
তারই বহিঃপ্রকাশ কালেভদ্রে এক আধটা।