পিঞ্জরে বাঁধা জোসনা
ড. ফেরদৌসী বেগম
একে একে তেত্রিশ পেরোলো
করোটিতে আগুন
পিঞ্জরে বাঁধা জোসনা
আজও হয়ে উঠিনি তেজস্বিনী।
চারিদিক ঢেকেছে কালো পর্দায়
বেকারত্বের নাগপাশে নাভিশ্বাস,
ভাদ্রের রোদ্দুরে ঝলসিত ক্ষুধা
ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ কুহক-
অপেক্ষা সুবেহ সাদিকের
অপেক্ষা প্রমিত জীবনের
অপেক্ষা সাগরের শীতল হাওয়ার।
কালো শকুন উড়াউড়ি করে
চার পুরুষের ভিটের উপর
অন্তত একটা কিছু চাই যা দিয়ে ঘুচাবো
সকল অক্ষমতা।
অন্তত একটা কিছু ঘুরে দাড়াবার
অন্তত একটা রূপালী নদী
যেখানে নিশ্চিন্তে বিচরন করবো
ভোর থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে ভোর
দিন, রাত, বছর,
আজীবন, আমরণ।
হবে কি এমন?
নিশ্চিন্ত জীবন।
হয়েছে কী কভু নিপাট সুখ!
অসুখগুলো তো পাশাপাশিই থাকে
অশান্তির কাকগুলো যেমন
প্রতিদিন সকালে জানান দেয়।
তবুও জীবন সাজে
নূপুরের ঝংকারে,
জল তরঙ্গের
অপূর্ব মূর্ছনায়
অবিরাম।