প্রজন্ম প্রতিষ্ঠায়
আইরীন কাকলী
“””””””””””””””””””””””””””
প্রজন্ম প্রতিষ্ঠায় সৌন্দর্য্য বিলিয়ে
ঠিকানা হীন তুমি।
রূপের মলিনতায় বিপ্রতীপ বেদনার আবেদন
প্রকাশিত হয় নীরবে…
ঠিকানা হারানোর কঠিন বেদনা
আজ আকাশ ছুঁয়ে নীরবে করে আর্তনাদ
কুকড়ে যাওয়া পাপড়ির নিবেদন অনিন্দ্য,
অস্তিত্বের বীজ রেখে তাই
আবাস বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েও
হাসির সান্ত্বনা নিয়ে ফিরে চলে মৃত্যুর পথে।
মাঝে কটা দিন সুবাসে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়
প্রাগৈতিহাসিক মাতৃকা-উপাসনার পৃথিবী…..
শহর কবিতা
আইরীন কাকলী
“”””””””””””””””””””””””””””
এই শহর!!
এই শহরে দু:খগুলো চার দেয়ালে বন্দী থাকে….
এই শহরের লাল নীল নিয়ন আলোয়
বেদনা বিলীন হয়ে যায়..
ঠাস বুনটের ভীরে নিঃশ্বাস আটকে আসলেও
সুখ আটকে যায় না..
যানজটের দুর্ভোগে সম্ভোগ হয় জীবনের..
জীবন যেন এখানে অপর্যাপ্ত সুখের কথা বলে যায়।
এই শহরের যান্ত্রিকতায় আবেগ যেন
আরো প্রশমিত হয়, আরো প্রাণোবন্ত আরো সুক্ষ্ম আর সচল হয়ে ভালোবাসাকে জীবন্ত করে তোলে।
অলিতে গলিতে অলিখিত প্রেম যেন
আমাদের মুগ্ধতার মোহজালে আটকে দেয়।
ছাদ প্রেম, ছাদ বাগান আর বারান্দা বিলাসের আয়েশে
বেলী হেনার সুবাস মিশ্রিত
স্মৃতি রোমন্থন মুহুর্ত গুলো যেন স্বর্গীয় সুখ. ……
এই শহরের অন্ধকারে দু:খ মেশানো যায়,
অট্টালিকার অন্ধকারে খেলা করে সমস্ত না পাওয়ার ক্লান্তি…
ক্লান্তি হতাশা ব্যর্থতা না পাওয়ার যন্ত্রণা সবটাই ভোলা যায় শুধু এই শহরের অন্ধকারের একাকীত্বে..
এই শহর যেন সুখের নির্বাসন..
যাদুমন্ত্রে বাড়ায় প্রাণের স্পন্দন,
টাকার নেশায় যে যতোটাই নেশাতুর হোক না কেন
এ শহর তবু মানবতার কথা বলে..
শহর রুক্ষমূর্তি হয়ে আমাদের আগলে রাখে…
আমরা সাঁতার কাটতে শিখি অন্ধকারে
এক এক জন সৈনিক হয়ে উঠি তারপর
একার সাথে লড়াই চালিয়ে
সার্থক কবিতার বিষম ছন্দে অতীন্দ্রিয় অলীকতায় ব্যস্ততার বেহেশতে বসবাস শুরু করি।
অবসরবিহীন এই ব্যস্ততা যেন
জীবনের অন্যতম সর্বোচ্চ সুখ।