“ছয় ঋতুর দেশ”
~সৈয়দা ইয়াসমীন
ছয় ঋতুর রুপ বৈচিত্রে ভরপূর আমার বাংলাদেশ
যার রুপমাধূর্য্যের বর্ণনা দিয়ে হবেনা কভুও শেষ।
প্রখর তাপদাহে জীবধাত্রী ধরীত্রির বক্ষ বিধীর্ণ হয়ে
তৃঞ্চার্ত প্রান্তর চৌচির করে,জনজীবনকে মাতিয়ে
আম,জাম,লিচু,কাঁঠালের সম্ভার নিয়ে,
সূর্যের প্রচন্ড দাবদাহ নিয়ে আসে গ্রীষ্ম।।
বর্ষার আগমনে প্রখর উত্তাপে বৃক্ষলতা,
শুষ্ক ও মৃতপ্রায় তৃণ বর্ষার শীতল জলধারায় যেনো নবজীবন পায়।
চারিদিকে থৈ থৈ করে পানি।
হাট বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি,ঘরে কিনে আনি।
নদী -নালা,খাল-বিল,ডুবা ভরে উঠে কানায় কানায়।
সুগন্ধি প্রস্ফুঠিত হয় কদম,কামিনী,জুঁই আর কেয়ায়।
বিলের বুকে সমারোহ কলমিতা,হেলেঞ্চা,শাপলার
গাছে গাছে আনারস,বাতাবি লেবু আর পেয়ারার।
বর্ষার অবসানে এক অপূর্ব শোভা ধারণ করে শরৎ এদিক ওদিক।
ঘাসের ডগায় শিশির জমে।
বনে উপবনে শিউশী,গোলাপ,বকুল,মল্লিকা,কামিনী,মাধবী ফুলের সুগন্ধি ছড়ায় চারিদিক।
জন জীবনে নব আশার সঞ্চার করে
হেমন্তের আগমন ঘটে পাকা ধানের গন্ধে করে মাতাল।
শস্যক্ষেত্র হরিদ্রাবর্ণ,রাত্রিতে শিশির পড়ে
ভিজিয়ে দেয় সতেজ ঘাসের ডগা,
ভোরে সেই ভেজা ঘাসের ওপর ঝরে পড়ে শিউলি ফুল।
গাছপালাকে শ্রীহীন,বিবর্ণ করে,আবির্ভাব ঘটে শীতের।
ভোরে খেজুর রস পাড়া,চারিদিকে সাদা কুয়াশার চাদর,
এক স্বতন্ত্র আনন্দ নাড়ার আগুনে শিম পোড়ানোর।
সবশেষে প্রকৃতিরাজ্যে আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের।
গাছ-পালা নব পল্লবে সুশোভিত ফুলে ফুলে মধুমক্ষিকার
গুন গুন তান, কোকিলের গানে মুখরিত হওয়ার।।