একটি নক্ষত্রের রাত
লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইয়া
হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে
একদিন আমরা যাবো
সমুদ্র গর্ভজাত রহস্যের
মায়াপুরী নীল জলের
বর্ণিল প্রবাল দ্বীপ –
রূপালি বালুচর দারুচিনির বুকে!
প্রিয় হুমায়ূনের স্বপ্নেরা
যেখানে উড়ে বেড়ায়
সন্ধ্যার বাতাসে,রাতের নির্জনে সফেদ ফেনায় মিশে
বারবার ফিরে আসে কেয়াবনে!
সারি সারি নারিকেল গাছ ছুঁয়ে
আমরা হেঁটে যাবো –
রূপালি চাঁদের আলোয়
দৃশ্যমান হবে পদ-চিহ্ন!
দারুচিনি দ্বীপের নির্জন বুকে
একটি নক্ষত্রের রাত কাটাবো
শুধু আমরা দুজনে-
আমাদের ঘিরে থাকবে
উত্তাল নীল বারীশ আর
অতন্দ্র প্রহরী নারিকেলের সারি,
সন্ধ্যারাত থেকে মহাশুন্যে
একে একে জ্বলে উঠবে
লক্ষ কোটি নক্ষত্র,
আর নিচে নরম বালুর বুকে
পাশাপাশি তুমি-আমি
সাজাবো আমৃত্যু বাসর।
একটি নক্ষত্রও ম্লান থাকবে না
জ্বলবে আপন তেজে
কৃষ্ণ গহবর ও হবে আলোয় পূর্ণ
রূপালি স্নিগ্ধ আলো জ্বেলে সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব
করবে চন্দ্রদেব!
আলোর বন্যায় ভাসবে নীলগ্রহ-
যেন স্বর্গের সাথে মর্তের মিলন!
তোমার চোখে দেখব-
পৃথিবীর অনুদ্ভাসিত সৌন্দর্য,
সেদিন পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যকে
সাক্ষী রেখে নক্ষত্রের
আলোর বন্যায় নক্ষত্র স্নানে
আমরা হব পৃথিবীর –
প্রথম মানব-মানবী,
সবচেয়ে সম্পদশালী আর
রোমান্টিক প্রেমিক যুগল।
নক্ষত্রের ইন্দ্রজালে দেখব
আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ,
মধ্যরাতের নীরবতা ভঙ্গ করে
এক মাতাল বারীশ হুংকারে কম্পিত দারুচিনি দ্বীপের বুকে
নক্ষত্র বাসরে আমরা কাটাবো –
একটি নক্ষত্রের রাত!