অন্তর্লীন
কিরণ আহমেদ
সাদা বকেরা চুপসে যাওয়া ক্ষেতের জলে
স্বপ্নের অভিসারে একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
খেয়ালী বাতাসের প্রশ্রয়ে দোল খায় ঘাসের নরম-ডগা౼
সোনালি-রোদ্দুর আনে অকপট সুরম্যজৌলুস।
ভাবনারা দোল খায় তোমার এলোমেলো উঠোনে
বরফরঙা-ওড়না ছুঁয়ে
বেড়ে ওঠা শৈলেন্দ্র-সফেদ-উত্তুঙ্গে, নিবিষ্টমন মুহূর্তে আটকে যায়: অতীতের ক্যানভাসে!
যা চিরশত্তুর কুমোরে পোকার দখলে ছিলো সেদিন, একটি মুহূর্ত
আগুনচোখে ভষ্ম করি শত্রুর ভবিষ্যৎ আজও।
ভাবালুতা ছেড়ে দিয়ে নিজেকে অবমুক্ত করে সরোবরের প্রান্তিক কাঁকড়া,
একে একে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে ঝিনুক আর প্রগৈতিহাসিক কচ্ছপও
অথচ আমি ভেতরে-বাহিরে শক্তশৃঙ্খলে আবদ্ধ।
বুঝি না শৃঙ্খল আমার ভারে ক্লান্ত না আমি শৃঙ্খলের…!
তবুও সময় যায়, তবুও পথ এগোয়, তবুও স্মৃতিসাগরে অপ্রাপ্তির সাম্পানও ঘুরে উদ্দেশ্যহীন।
শুধু দিগন্তটা ঠিক আগের মতোই গাঁয়ের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা গাছের সাথেই লেপ্টে থাকে।
দূরের উইপোকা চোখের সূড়ঙ্গ দিয়ে বেরোয় সুবিধে মতো
বিকশিত ফুলের ডিবিতে বাসা বাঁধাবে বলে।
একে একে রাতদিন একবিন্দুতে এসে মিশে
পুরোপৃথিবী জমাট বাঁধে চোখের কার্নিশ বেয়ে রোদটেবিলে౼
আর আমিও অন্তর্লীন হই প্রথম স্বপ্নের আনাড়ি ঠোঁটে,
নেশাচ্ছন্ন নিঃশ্বাসে, বারেবারে, প্রতিবারে।