“কবিতাই খুঁজে নেয় মানুষ “
————————— অনাদি রনজন বড়ুয়া।
শরীরের দিকে ফের -চোখ-ফেরাও
কবিতার শরীর
শারীরিক কিছু শর্ত মেনে
দেখতেই থাকো আসমুদ্রহিমাচল,
আত্মার ভাষিক উৎসারণ।
মানুষ তাকে পুরোপরি বুঝেনি কোনদিন-
কোনোদিনও- না।
চিরকাল ভাবতে হয় তাকে,
চিরকাল হাঁটতে হয় পথে-মহাকালের পথে
মানবিকতার প্রয়োজনে
দানবের বিনাশে
বাস্তব ও অবাস্তবের শৈল্পিক উৎক্ষেপণে।
তুমি বাধ্য,
একান্তভাবে কবিতা সৃষ্টির জন্য তুমি বাধ্য।
তার প্রয়োজন পড়েনা তোমার- আমার,
প্রয়োজনটা আমাদের।
জানি তুমি কবিতা ভালোবাসো-না
অথচো কবিতা প্রণয়ের,
অবহেলা-প্রত্যাখানের-অস্বীকারের
সমাজ- রাষ্ট পরিবর্তনের উত্তোলিত তর্জনি।
কবিতা ধ্যানমগ্ন পুরুষোত্তম পুরুষ,
ঘৃণার অভিসম্পাত, শোকের , জেগে ওঠার মন্ত্র।
কবিতা আগমনী সুর,
মিলনের বার্তা
উত্তেজনার নন্দিত কাঁপন।
কবিতারই প্রয়োজনে কবিতাই খোঁজে মানুষ
ফের জাগানোর প্রয়োজনেই খুঁজে বেড়ায় ঘুমন্ত আঁধার
একটা সুখ-শ্বাসের জন্যে বেছে নেয় সবুজ ভূমি
কতগুলো আগুন বর্ণমালা।