মানস প্রতিমার জীবন্ত ফুল
বিকাশ চন্দ
ক’দিন আগে অহংকারী রাজা প্রাণ ভয়ে দেখেছে পাতাল ঘর
তেমন করে দেখেনি তার ও আগে কত পায়ের ছাপ,
কোথাও চিৎকার আহাম্মক চাকরি দে—
অন্যেরা বলে বাঁচার জন্য চিকিৎসা ওষুধ—
কোথাও চিৎকার মাথার ছাদ নেই ছাউনি দে—
বাহবা রাজা তুমি শুধু জানো ফিরে আসতে আবার
জনতার তর্জনী বড়ো জরুরী পূর্ণাহুতি বেলা।
কোন কোন মানুষের চোখ হঠাৎই পাথরের মতো স্থীর
নির্ভয়ে এগোতে থাকে আগুনের দিকে—
রে রে চিৎকারে ছুটে আসে মানুষের ঢ্ল—
আবারও চিৎকার পেয়ে গেছি ফুলের মতো মানুষ।
হঠাৎ মাথার উপর এক ঝাঁক পাখির অনন্ত উল্লাস
আলো ছায়া জল ছবি প্রাণের উৎসবে মৌতাত—
আমন আউশ বোরো শূন্য মাঠে এখনি আবাদ।
এখন পৃথিবীর চতুর্দিকে আলো আর আহত সময়
কোথাও শিশির ভেজা ভোর কোথাও বরফ কুচি ধারা,
আশ্চর্য ধ্বনি নদী সমুদ্রের এক সাথে কোলাহল—
এক সাথে অপেক্ষায় প্রবীণ ঘরে নবীন জীবনের অবরোহন,
কোথাও বা বাক্য হারা কেউ নিজস্ব রক্ত বিয়োগে—
তবুও তো প্রত্যেকের হাতে দিয়ে যায় মানস প্রতিমার জীবন্ত ফুল।