আত্ম-জিজ্ঞাসা
লাবণ্য শাহিদা
তোমার অলক্ষ্যে পদস্খলনের স্মৃতি আজো এই নোনাজংশনের ভুলের মতো বিঁধে আছে হৃদয়ে আমার।
কত সহস্রবার হাজারো ঝড়ে মাথা পেতে দেয়া গেলো-
নিছক সখের বশে কার্তিকের হিমে ভিজে একাকার হলো আদিম কষ্টে লালিত অবসন্ন এ শরীর।
পৃথিবীর আলোতে প্রতি প্রবারণার রাতে ফানুসের পিছু নিয়ে আলপথে জখম হয়েছে যাবতীয় সমস্ত আকাঙ্খা!
তবু কোথাও আর ভুলের বাকি নেই; এ আমার নেহায়েত্ অবসর।
যেখানে দুলছে হৃদয়ে শূণ্যতার পেন্ডুলাম, হয়ে আছি পড়ে দুলতে থাকা একটা নিথর টিকটিকি হয়ে!
কে জানে সে কথা, এ যেন শূণ্যতা যতো বাড়ে ততো বাড়ে বিষন্ন হৃদয়ের দেনা?
মাঝে মাঝে হিসেবের খাতাতে হৃদয় সংকোচে দাঁড়াতে চায় সময়ের উঠোনে-
সময় কি ভুলে যায় যাবতীয় সব অতীত সুদ?
নাকি সেও একনায়কের মতো নীরবতার খোলসে পুরে ঝুলিয়ে দেয় নিথর ফাঁসিকাষ্ঠে?
কে দেবে উত্তর এই প্রগাঢ় জীবনের পথের?
তাই তোমাকেই বললাম আরেকটিবার লজ্জ্বার খোলস ছেড়ে!
বলো পরিযায়ী,
বলো হে নিষাদী, তোমার যাযাবর অভিজ্ঞতা কি বলে?
হৃদয়ের দেনা ঢের হলে কী প্রাপ্য তার-
পাহাড়ের গুমোট ব্যাথা নাকি কড়িকাঠের শুল?