মেঘের গায়ে রোদ্দুর
রীতা ধর
গোধূলিতে ছেয়েছিলো আকাশ, সর্বত্রই,,,
মনের আনাচে কানাচচে কোথাও ছিলনা
অর্যমার আশীর্বাদ।
গোধূলি সন্ধ্যায় ভীষণ তীব্রতায় থরথর
কেঁপে ওঠেছিলো বুকের কাঁপন,
অর্যমার মতোই হৃদয়ের কোন প্রান্তে
ছিলনা তোমার পরশ,
যুবতী নদীর জলে তিরতির করে শুধু
নেমে এলো দুঃখের স্রোত।
ষোড়শী আকুলতা তখনও দুঃখ চিনেনি,
বেদনার অঝোর ধারা মাথায় নিয়ে
দুঃখ স্নানে ভালোবাসেনি
শ্রাবণী আলিঙ্গন।
হঠাৎই, পুব আকাশে ভোরের
রৌদ্র বিলাসী প্রণয়ে তোমার উদয়
হলো ভৈরবীতে,
যেন সদ্য রবির কিরণে ফুটন্ত এক শুভ্র নীলপদ্ম, কালো দুটি চোখের মায়ায়
শ্রাবণের আকাশ ভেঙ্গে জলঙ্গীর
স্রোতের মতো রোদ্দুরে বিভাসিত হলো চারপাশ ,
জলচূর্ণ বাতাসের গায়ে ঐ দৃষ্টির অতলে আমি যেন নক্ষত্র হয়ে নিভৃতে আঁকি রোদ্দুরের আলপনা।
বিষন্ন কুহেলিকায় বুকের কাছে মাতাল জোয়ার বান ডেকেছে যদি,
দুজনে এসো
মেঘের গায়ে রোদ্দুরের হাট বসাই,,,