ইশক
এম,সাফায়েত হোসেন।
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
চাঁদ সুরুজের প্রেমকাহিনী আহ্নিকগতি আনে,
সেই চিরায়ত পরম সত্যটি দিবা-রাত্রি জানে।
তবু কয়জন মানে…?
গৃহের মায়াকুহকিনী ত্যাগ করে সাধু
কেন আস্তানা খোঁজে নির্জন গহীন বনে,
বোধি বৃক্ষের তলে ধ্যানে মগ্ন তপঃসিদ্ধ প্রাণে।
কোন প্রেম কলবের কোঠরিতে শিকড় গাড়ে,
ইশকের মোহাব্বতে হয় ফানাফিল্লাহ,
পথে পথে পদে পদে পরীক্ষা দেন ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
নমরুদের আগুনের চিরায়ত স্বভাব
প্রশ্নবিদ্ধ হয় স্বতঃসিদ্ধ প্রেমে,
আগুনের কুণ্ডলী পুষ্পের বাগান হয়ে যায়
তার হুকুমে।
একদিন খোয়াব দেখেন পিতা ইব্রাহিম
প্রভু তার চান প্রিয় জিনিস কোরবানি দেন।
যা কিছু প্রিয় তার করলেন সাবাড়
তবু প্রভু কভু খুশি নন, চান আরওঅধিক প্রিয় তার।
অবশেষে বুঝে যান খোদা চান তার প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান,
তাই শাণিত তরবারির নীচে ইসমাইলের উদ্যত প্রাণ।
কার মহিমাতে মা মরিয়মের ভুমিতে বিনাবীজে
ধরে মানব ফসল,
অসীম কুদরতে দুগ্ধশিশু ঈশার মুখে খই ফোঁটে
অনর্গল।
কি সাধ্য আছে এক বিন্দু পানির,
সৃষ্টি করে মানুষ নামে প্রাণীর।
কেন তুর কার নুর করেছিল অবয়বে ধারণ?
ছাই হয়ে সুরমা হলো, শুনলো না বারণ।
কেন হেরা গুহা সেরা বনে যায় সারা পৃথিবীতে
ঐশী ধারা প্রবাহিত হয় নবীর পবিত্র কলবেতে।
.
কেন সর্প শিথানে পাহারা দেয়,মেঘ দেয় ছায়া,
এমন মাজেজা পৃথিবীতে প্রভুর থেকে পাওয়া।
এই ভাবে যুগে যুগে মহামানব স্রষ্টার প্রেমে
নিজেদের জানমাল কোরবান করেন ইশকের দামে।