চৈতালী সন্ধ্যায়
ড. মানসী দাস
হিমেল হাওয়ায় হাওয়ায়
ঝরা পাতার গল্প শেষে
বসন্ত এসেছিল বকুল শাখায় |
তার ছোঁয়া লেগেছিল মাধবী বিতানে
অভিমান ভুলে যাওয়া
বিরহী কেকিলের কুহু তানে |
আম্র মণ্ঞ্জুরীর কানে কানে
নবীনের বার্তা শুনিয়েছিল
ভ্রমরের গুন গুন গুণ্ঞ্জনে |
অশোক শিমুল পলাশের বনে
রঙের পসরা সাজিয়েছিল , আর
সে রং স্পর্শ করেছিল মাধুকরীর মনে |
আগুন ঝরা ফাগুন শেষে
সে রঙের ডালি হাতে,
কৃষ্ণচূড়ার মন দুলেছিল চৈত্রের বাতাসে |
কিছু রং ঝরে যায় দমকা হাওয়ায়
আর সে রং লাগে
আধো পরিচয়ের কাব্য কথায় |
অর্ধেক তার পূর্ণতা পায়,
বাকী আধা জমা থাকে অপেক্ষার প্রহরে
বসন্তের শেষ চৈতালী সন্ধ্যায় |
বসন্ত বাহার
ড. মানসী দাস
সবার জীবনেই বসন্তের গল্প থাকে
হলদে হয়ে যাওয়া ডায়রীর পাতার ভাঁজে,
সেই গল্প গুলো যত্নে লুকিয়ে রাখে |
ফিকে হওয়া নীল খামের অন্তরে
বন্দী হয়ে আছে তারা ,
বিবর্ণ চিঠির ঝাপসা অক্ষরে |
কোন এক অলস চৈত্র দুপুরে,
স্মৃতিরা এসে ভীড় জমায়
হৃদয়ের কোণে অগোচরে |
যে কথা শুনিয়েছিল চুপিসারে
বসন্ত পঞ্চমীর পূণ্য তিথীতে ,
তার প্রতিধ্বনি বাজে বসন্ত বাহারের সুরে |
সেই সুরের মায়াবী মূর্ছনায়
মন আবার সিক্ত হয় ,
আবিরের রক্তিম লালিমায় |
অভিমানের রং ক্রমেই গাঢ় হয়
আর তার ছোঁয়ায় বসন্তের বিদায়ী গোধূলী লগনে
উদাসী মনের একলা আকাশ বাউল হয় |