ধংস
শিখা গুহ রায়
একটা পড়ন্তু বিকেল
আর নিরব চারপাশ
থমথমে হয়ে আছে গোধূলি রঙ।
খেলা করে কিছু সজীব প্রান
বৃষ্টির দুধঘোলা জলে,
যেখানে ক্লান্ত শরীরে কাদা ছেনে
জন্ম দেয় জীবিকার তাগিদে,
হাসি মুখে গান ধরে ভাটিয়ালি সুরে।
ওই তো দূরে
স্বর্ণলতা জড়িয়ে বকুল গাছের নিচে
কালো রঙের শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে।
তখনই দেখা মেলে
অবুঝ প্রাণীটি রোয়া চারা খাচ্ছে নির্বিচারে,
সবুজের আর্তনাদ বুড়িমা শুনেও
নিরবে দেখেছিল পরের ভেবে।
সে কি বুঝেছিল?
কত যুদ্ধ করেছে ঝড় বৃষ্টি রোদে
ধিরে ধিরে বড় হয়ে ওঠে কৃষকের লালনে।
হয়তো একদিন রঙ মাখিয়ে
চারবেহাড়া পালকি চরে আপন নীড়ে।
সোনার হাতে সোহাগ মাখিয়ে
তুলে নিত অট্টালিকার গোলা ঘরে।
এ বার বুড়িমা ভাবে!
কেন পড়ে আছে গোলা শূন্য হয়ে;
বিবেক ধংস করেছি বলেই
ঘাম ঝড়ানো সেই সবুজ মাঠে।
যেখানে চড়িয়ে ছিলাম অবুঝ প্রাণীটিকে
পরের ক্ষতি সাধনে ,
তাই নিজেই পরেছি
আজ অনাহারের কবলে।