জীবন বোধের কবি সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য লিখেছেন শব্দের ছন্দায়িত ব্যবহারে সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত আমিত্ব নিয়ে কবিতা “অনিত্য অহং”

568

অনিত্য অহং

সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য

নগ্ন গায়ে, শূন্য হাতে
এসেছিলাম এই ধরার মাঝে।
হাউমাউ শব্দে কেঁদে কেঁদে…
সিক্ত চোখে তাকিয়েছি যখন!
নাম,ঠিকানা,বংশ,অবস্থান
কিছুই জানা ছিল না তখন।
কে ছিলাম আমি তখন?
মানুষ জাত ছাড়া,
কোন জাত ছিল আমার?
অচেনা সব মানুষের ভিড়ে,
কী নিতে এলাম আমি?
আসলেই কি আমি আমার?

যদি সব আমার হবে;
যদি আমি আমার’ই মালিক!
তবে,কেনো অন্যের দাসত্ব করি?
কেনো আমার দিনের শুরু হয় মৃত্যুর আগমনকে ঘিরে…?
শতাব্দির পর শতাব্দি…
কেনো আমি মানুষের আসা-যাওয়া দেখি?
কী হারাবার ভয়ে থাকি!?
ক্ষণস্থায়ী এই আমি।
কোনো রোজ আমার আমার বলি…?
আসল প্রভু ভুলে নকল প্রভু সাজি?
পরম সত্যকে ভুলে অসত্যকে মানি?
‘আমিত্ব’ কেনো গ্রাস করে আমায়?
জীবন এতো ক্ষণিকের কেনো কেউ কি আমায় বলতে পারো?

আমার ‘আমিত্ব’,
আমার এই দেহখানি,
সবকিছুই মোর পড়ে রবে মায়াভরা পৃথিবীতে!
ভবের খেলা সাঙ্গ হলে;
রিক্ত হাতে, সিক্ত চোখে
একদৃষ্টি আর অতৃপ্ত হৃদয় নিয়ে!
পাড়ি দেব অজ্ঞাত ভুবনে।
চলে যাবো আমি দূরে,
বহুদূরে—!!
এই সত্যকে ভুলে কেনো আমার আমার বলে মরি…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here