তুমিময়
শিখা গুহ রায়
মনে হয় এইতো সে দিন
দিনটা হেসে উঠেছিলো খুব-ই
হেসেছিলো আমার ভিতর-বাহির ,
এরকম দিনে অসতর্ক হলেও
কিছু যায় আসে না!
তেমনি এক দিনে আমার ঝাঁপিতে
আটকে ছিলো অন্ধকার,
আর সবুজ ঘাস
আমি সেই সবুজ ঘাসে রোদ লাগাতে চেয়েছিলাম কিন্তু হায়….!
কৃষ্ণচূড়ার রঙে আঁকা
ভোরের আকাশে
প্রজাপতি উড়ছে আর বলছে,
তোমার নিজের শহর বলে কিছু নেই।
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে আমার
বিবর্ণ বাগান,
সুরভোলা কচি-পল্লবিত শাখে
বেজেছিলো আনন্দ-কোকিলের গান।
সে এখন অতীত,
এখনো রোদের চিবুকে
চুমো খেতে খেতে
চলে যায় দখিনা বাতাস।
সংসারী হয়ে ওঠা একতারা ভেঙে
ধ্যান-মগ্ন কিশোরী,
আর সাধক খুঁজে ফেরে কামনায়
ষোড়শী ফুলের সুবাস।
বসন্ত আহ্লাদে কবির
অধর-কাঁপা কবিতা
রক্তে জাগে দোলা অযাচিত শিহরণ
শব্দে-চিন্তায় ভরে উঠে
কাব্যের উর্বর সুজলা মধুর বীজতলা।
কার মনে কতোটা বসন্ত জাগে
কে রাখে তার খবর!
আমার বসন্ত চলেগেছে।
গ্রীষ্ম অথবা বর্ষা
শরতের শিউলি শূন্য
দিনেও আসতে পারে
অপ্সরী বসন্ত তুমিময়।
।সুধুই তুমি ময়