যাযাবর
বিজিত গোস্বামী
চেনা অচেনার ভিড়ে একটা জাতি স্বপ্ন দেখে—
নদীর চড়ায় বসতির হাঁড়ি বসায়
কঙ্কালসার দেহের তলে জীবন বাজির
হাঙ্গর একটা বড় হা কতো অসহায়!
বুকের তলে চাপা অথচ কঠিন স্বপ্নটা দিন মাস বছর পেরিয়ে যায়।
ফেলে আসা গ্রাম পেছনে পরে রয়—
ঠিকানা বিহীন অগস্থ্য পথে কোলাহল থেমে গেছে
দেহের পাঁজরগুলো খোলস বদলায়নি;ওরা বাঁচে আমৃত্যু এভাবেই
দেশের বড়লোকের দামী শহরে ওরা অপাংতেয়
শোষণ শাসনে মত্ত শয়তানের দল,ওরা কী বুঝে
গরীব মেহনতির ক্ষত কত অবাঞ্ছিত?
শীতের কড়াল ব্যাধি নিয়ে নদীকে আঁকড়ে ধরে—ওরাও বাঁচতে শেখে
নিবু নিবু সলতে বাতির তলে উলঙ্গ শিশু ঘুমায় মাকে জড়িয়ে
শক্ত বুক থেকে সুখ খুঁজে, বাঃ দুনিয়া কি চমৎকার
একবার দেখে যাও;তোমার সৃষ্টিরা আজ অভেদ শপথে ভেঙ্গে যায়নি।
তুমি কী কান্না শুনতে পাওনি?
আসুক প্রলয়,উড়িয়ে তুফান—
ঝড়ুক অগণিত বৃষ্টি;পৃথিবীর যত গ্লানি ধুয়ে যাক্
মুছে যাক্ জাতি বিদ্বেষ,পরিচয় কেবল মানুষে—ওরাও মানুষ আমার তোমার মতো
হে রাজনীতির ধারক বাহক, খোলস বদলের দিন আজ
চলার মন্ত্রে দীক্ষিত করো সবে,উচ্চবিত্ত হেলায় ফেলো দূরে
ঈশ্বর আল্লা গডের ঘরে অচ্যুত বলে কিছু নেই
এ যাযাবর তাই আজও মানুষ;রক্ত মাংসের এক অদ্বিতীয় আপনার জন।