প্রার্থনাই বেঁচে থাকার প্রেরণা
ফাহমিদা ইয়াসমিন
মাকে হারিয়েছি প্রায় তিন মাস হলো। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে তার অনুপস্থিতি আমাকে ছারখার করে দিচ্ছে।
মানুষ মরণশীল,এ সত্যে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে মা’র স্মৃতিগুচ্ছ অনুভব করি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বিশ্বে অস্থিরতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃটেনেও এর প্রখরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এ রোগটি থেকে নিরাপদ থাকতে নিজেকে আলাদা করে রাখার বিকল্প নাই। বৃটেন সরকারের কঠোর পদক্ষেপে সবাইকে ঘরে থাকতে হচ্ছে। কর্মজীবী মানুষ ঘরে থাকায় পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি। নামাজ,কুরআন তেলাওয়াত দূরুদ ইস্তেগফার পড়ছি। গৃহবন্দী মনে এক বিশাল শূন্যতা অনুভব করি, হৃদয়ে কষ্টের সীমাহীন অপূরনীয়তায় মন মগজে মায়ের যে অনুপস্থিতি বিরাজ করছে সেটা কাটিয়ে উঠা যেন আরেকটি লড়াই করতে হচ্ছে। কাজে যখন থাকতাম পুরো ঘর মা সামাল দিতেন। আমারও যে দায়িত্ব আছে সেটা কখনো বুঝতে দেননি।আমার বড় ছেলেও সেই শূন্যতা অনুভব করছে। নিজ হাতে নানীকে দাফন করতে পেরেছে। মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
”-হুমায়ূন আহমেদের এ বানী যেন আমাকে আকড়ে ধরেছে। আমি সেই ব্যাংক থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছি। যখন দু হাত তুলে প্রার্থনায় থাকি আল্লাহর কাছে মায়ের জন্য দু’য়া মগ্ন থাকি মায়ের শূন্যতায় এটাই যেন আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা।