মধ্যরাতে ঘন্টাধ্বনি
লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইয়া
গভীর রাতের নীরবতায়
আচ্ছন্ন মহীতল,
মায়া পুরীর বাসিন্দা হয়ে
মায়াবী জাদুর মন্ত্রে
নিদ্রা দেবীর কোলে
নিদ্রিত আমি-
ঘুম যেন মৃত্যুর করাল গ্রাস!
পাতালপুরীর শীতল স্পর্শে
উষ্ণতা খুঁজে নশ্বর শরীর
চোখের ঠুলিতে টেনে দেয় কেউ
ভারী কালো পর্দা –
আসে ঘুম মৃত্যুসম!
অচেনা নদী-তরীবিহীন ঘাট
নিকষকালো স্তব্দ জলরাশি
অপেক্ষায়- এই বুঝি
কেউ ছুঁয়ে দিবে,
ভাঙবে দীঘল নীরবতা।
ঘন কালো মেঘের আড়ালে
ঢাকা পরে রূপালী চাঁদ,
গভীর হয় রাত-
নিশাচর পাখিরা
পালকে ডাকে মুখ!
অচমকা দুরে ঢং ঢং ঢং
ঘন্টাধ্বনিতে নিদ্রা যায় ছুটে,
ফিরায় আমায় মৃত্যু পুরী হতে।
কান পেতে শুনি ঘন্টাধ্বনি
মধ্যরাতের নীরবতায়
ঘন্টাধ্বনি শঙ্কা জাগায় মনে,
তুলে প্রশ্নের ঝড়!
সময় করি পার
সহসা চেতন আসে ফিরে,
হৃদ মন্দিরের চেয়ে
আছে কি কোন মন্দির-
বিবেক যার বড় ঘন্টা?
ঘুমায় আসমান -জমিন,
ঘুমায় ক্লান্ত শরীর-
ঘুমায় না কেবল বিবেক
প্রতিক্ষণ জেগে করে হুশিয়ার –
সকল বান্দারে!