জীবন সংক্রান্ত
কামরুন নাহার রুনু
===============
কোথাও বাজছে সানাই, কোথাও ভীষণ ফাঁকা , ধূ ধূ রাস্তায় ঘুমায় মানুষের চামড়া
আমি হাঁটছি কেবল হাঁটছি, কোথাও কি খসে গেছে কারো স্মৃতিকথা-বাজুবন্ধ !
আমি ভাবছি, শুধু খুঁজছি কবিতার রসদ,
যারা ঝাড়ু দিয়ে গেলো নাগরিক জঞ্জাল, পাতাকুড়ানিদের কেউ চিনেছে কী কোনকালে
ওগো মালতি, ওগো কাকলি, তোমাদের নাম লেখা হবে না কোন অভিধানে !
আমি ছুটছি, আমি শুনছি কাব্যের সমারোহ ,
মেঘের দেহ নুইয়ে পড়ে জানালার গ্রিল ধরে, পাখিদের ছুটোছুটি রোদের বাহানা খুঁজে
কমলা শাড়ি গায়ে আয়নার দাঁড় ঘেঁষে চুড়ির বাজনা বাজাও কে তুমি মধুরিমা?
আমি চলছি, আমি দেখছি পদ্যের ঘর বোনা ,
কোমরে ঘুঙুর বাড়ির উঠোনে শিশু, মায়ের আঁচলে মুছে ঝরে যাওয়া নাকের কুয়াশা
কী ভরাট জীবন, শাকপাতা কূল কুড়ায় যে নব বধু, কে জানে কখন ফুরায় তার জীবন যাপন !
আমি ঘুরছি, আমি বুনেছি শ্লোকের সূক্ষ্মকণা ,
নদীরা ছুটে চলে, মাছেরা জলে ভাসে, গাছেরা দাঁড়িয়ে থাকে, জীবনও ছুটে চলে দারুণ উচ্ছ্বাসে
আমরা বেঁচে থাকি, কখনও বেঁচে নেই ,এ নিদারুণ ঋতুর অভ্যাসে।
কবিতা পড়তে কার না ভালো লাগে ?
যা পড়ি তাই শিখি
এমন করে শেখার কি শেষ আছে ?প্রত্যেকটি লেখকের
লেখার গতিপথ আলাদা হলেও
সব লেখায় একটা জীবন্ত জীবন খুঁজে পাওয়া যায়।
আমার শেখার ও লেখার শেষ নেই
কি লিখি জানিনা,তবে যা পড়ি তাই থেকে
জীবনের একটা গতিপথ পেয়ে যাই
সেই সৃষ্টির মধ্যে ……
সেখানেই বেঁচে থাকার স্বার্থকতা ।
—–রমেন মজুমদার।