রাষ্ট্রযন্ত্র
মলয় রায় চৌধুরী
প্রথমে একটা ফুসকুড়ি হয়েছিল বলে, দাঁতে-কাটা ফলপোকার আলোয়
কেয়ারি-করা কুয়াশা, শীতসাপের অনলস কুঁড়েমিতে
স্বপ্নের মানে বোঝেনি কিন্তু পৃথিবীর চাকরি চায়
ডিজেলের ধোঁয়ামাখা হেমন্তের আড়তে ধুলোয় বুক-ঘষা ডাহুক
আকাশের জমিদারি থেকে মুক্ত বোবাদের গলার শির ছিঁড়েছে
আত্মার নরমকোমল যে অপ্রিয় ধাতব, তখন বাতাসে খিলখিলিয়ে
শায়াশেমিজে পায়ের ছাপ নিয়ে ফিরেছে সবুজ ঢেউ
ঝাঁকে-ঝাঁকে হাতেগড়া অন্ধকারে জিভের মিহিন বাজনায়
দরাদরিতে পাওয়া পতন শব্দের ভেতরে শব্দে যতটা মাখন
পূণ্যাত্মার অবধারিত ভোগান্তি যেন দিনের ভেতর হিঁচড়েছে সকালকে
আর উড়ন্ত ধুলোয় ভুরুধূসর বেরিয়েছে তাঁবুর অন্ধ বাসিন্দারা
পঙ্গপালের আকাশে কাঁধে নাচিয়েছে লাশ-মাচান
শরীর খারাপ হয়ে গেছে শিশু-কান্নায় ; শীত যে নক্ষত্রঘূর্ণি
পুঁতে রেখেছিলেন, সূর্যে সূর্যে ছেয়ে গেছে ধোঁয়াছত্রাক
খেত-খুশ বাতাসে ফুলমাতাল পুংফড়িং কোরাসগানে ডানা উড়িয়ে
কাকের জিভে ঠাশা হাঁ-মুখ ছিল মরা সকালের পরাগমাখা ব্যথাকেন্দ্রে ।