অমর চিহ্ন কাজল
বিকাশ চন্দ
মানুষের শৈশবে বাইরের মতো ঘরেও কোন পরজন্ম নেই—
কতো না স্নেহ চুম্বন মনে পড়েনা তেমন নীরব কোমলতা,
তবুও অন্ধকার মানেই বীভৎসতা আলো মানে মায়ের মুখ—
শরীর থেকে শরীর বদলে অবাক জন্মান্তর কাল,
এখন হিসেব মেলা ভার কত মানুষের অপচয়—
যতটুকু কুড়িয়ে পূন্য সঞ্চয় তাও একান্ত আত্ম বিয়োগ।
মহা বিশ্বের কত না পালক পিতা আল্লা ঈশ্বর বুদ্ধ যীশু
সকালে জবা শঙ্কাশ ভোরে সূর্য প্রণতি নামাজ আরো সব,
কোথাও বিষণ্ণতা মুখ বন্ধ সকল প্রার্থনা ঘর—
তবুও সূর্য চন্দ্র নিয়মিত আনত মানুষ জগৎ,
কানে কানে বীজ মন্ত্র সেখানে ত্যাগের কথা কামিনী কাঞ্চন
শ্রমের শরীরে কোন কলঙ্ক নেই তৃষ্ণার্ত মুখে জল প্রাণের মমতা।
ঘরে ফেরা পথ মাথার উপর রোদ যেন গলিত আগুন—
কোন সজল চোখের প্রতিক্ষায় হৃদয়ে জলজ ফাল্গুন,
তখন পথের দু’ধারে নয়ানজুলি যেনো বহতা নদী,
এই দেখো না উন্মুক্ত দু’হাত অন্তরে অন্তরে সবেদন সংহতি—
সেই চেনা নদীর দুপ্রান্তে সবুজ অচঞ্চল নক্সিকাঁথা আঁচল,
ছোট বেলা বাম কপালে আমার মা তোমার অমর চিহ্ন কাজল।