“একা থাকা মন্দ নয়”ছোট গল্পটি লিখেছেন ভারত থেকে সাহিত্যের অন্যতম সারথি-সপ্তশ্রী কর্মকার

421
“একা থাকা মন্দ নয় ”ছোট গল্পটি লিখেছেন ভারত থেকে সাহিত্যের অন্যতম সারথি - সপ্তশ্রী কর্মকার

একা থাকা মন্দ নয়

             সপ্তশ্রী কর্মকার

জীবনের গতিপথে প্রতি মুহূর্তে বাঁচার ক্ষণে আমরা সবাই একাই থাকি। আর একা থাকাটাও খুব ধৈর্য্য ও সাধনার ব্যাপার। যেমন – একা থাকার সময় বেলায় বাঁশ ঝাড়ের শন-শন শব্দটাও বুকে জমাট বাঁধা আকুলতাকেও প্রকাশ করে। তেমনি চলিষ্ণু মেঘের নিনাদের আবেগী চিন্তাবোধের ভাবনার কথাও বোঝা যায়।

একাকীত্বের রাজ্যে শুধু বিষাদের জ্বালাও থাকে না, পাখিদের গুঞ্জনের সুর মনে কম্পাংক জানায়। গাছের তলায় পাতা ঝরা কি শুধু গাছের অশ্রু ? না – – নিঝুমে শব্দটা বুকে কতটা লাগল তা বুঝায়।
কখনো কুয়াশার কলমে ধোঁয়াশার নিঃশ্বাসে কাঁচের জানালায় কলম ধরলে বোঝা যেতো, সমাজে পেটের দায়ে দিনমজুরা কিভাবে পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অন্নের যোগান দেয়।

একাকীত্বের ক্ষণে ভ্রুনে থাকা সন্তান আর মা’র মধ্যেও সম্পর্ক দৃঢ় করে। যেটা বাড়ির অন্যরা বুঝতে না পারলেও মা আর তার সন্তানের মধ্যে সেই সম্পর্ক হয়ে যায়।

শূন্য বারান্দার সিঁড়ির নির্বাসনে একাকীত্বে নুপুরের শব্দটা বেশ ভালো লাগে তখন আর ছন্দ – নৃত্যের তালে বেওয়ারি মনটা তখন স্বপ্ন পুরুষকে পাওয়ার আগাম জানায়।

প্রজাপতির পাখনার বর্নছটা বেশ ভালো করে লক্ষ্য করা যায়। অলিদের গুনগুন ভরা নীল আকাশ তখন খুব বড় মনে হয়।

কুয়াশার চাদরে ঢাকা মালবাহী রেলের হর্ন জানান দেয়, নিয়ন আলোর রশ্মিটার তরঙ্গ কতদূর, একটু একটু করে আস্তে এগিয়ে চলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে দিতে…
কিছু সময়ের ব্যবধানে ঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যায় ট্রেন।

~~~~তাই মনের রাজ্যে একাকীত্বকে আগলে নিতে হয়,, সবকিছুর মাঝেও। তাই একা থাকা মন্দ নয়।

“কি করে বোঝাই তোমায় ,
একা থাকা কেমন লাগে” ?—

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here