গল্পের অনন্ত নহর
রীতা ধর
গল্পটা তোমার জানার কথা নয়,
চাঁদের নরম আলো দিনের সূর্যের মতো যখন তোমার চোখের মনি স্পর্শ করবে,
তুমি শুধু এ’টুকু বুঝে নিও
তুমিহীন রাতগুলো প্রদীপের বুকে সলতের মতো পোড়ায় আমার নিভৃত অশ্রুকে।
গহীন কুহকে এভাবে কতো প্রদীপ করে
অশ্রু পান আর জীবনের অনন্ত প্রত্যাশা হৃদয়ের মণিকোঠায় আহুতি হয় নিরজনে,,
এ সব আমি নিরুত্তর বসে বসে দেখি
দীর্ঘ নিরালায়।
অশোকের রঙ তুমুল আগুনে যখন
আমার জীবনকে ছাই করে দেয়
আমের বনে মুকুলের গন্ধে তোমার শরীরে তখন আনন্দরা খেলে।
তুমি ভাবো, তোমার জন্য
পৃথিবীর কোথাও মেঘমন্দ্র স্বরে বৃষ্টি হচ্ছে,
সে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে একটা কবিতা তোমার জন্য দু’হাতে পরছে সুবর্ণ কঙ্কণ,
গ্রীষ্মের দুপুর শেষে নীড়ে ফেরা ক্লান্ত পাখিদের দেখে তুমি ভাবো,
তোমার জন্য পৃথিবীর কোথাও সন্ধ্যার চৌকাঠে গৃহলক্ষ্মীরা নিপুণ আলপনা এঁকে সাজিয়ে রাখছে বরণ ডালা।
প্রেমের কুঞ্জছায়া পথে যখন তোমার
পা বাড়িয়ে দাও
হঠাৎ সে পথে বকুল ঝরে পরে,
পথের ক্লান্তি ঘোছাতে দহিত শব্দরা
তোমার নিশব্ধ প্রহরের সাথী হয়ে
লুটিয়ে পরে পায়ের কাছে।
অরন্যের সবুজ পাতায় তোমার পেলব স্পর্শ অন্ধকার রাতের সমস্ত শরীরেও হঠাৎ
বৃষ্টির শিহরণ জাগায়।
মনে হয় সবই যেন অলীক,
এমন তো হবার ছিল না।
না, প্রচ্ছন্ন কোন অভিমান নয়, দুঃখের
স্থলপদ্ম হাতে সেসব
আমি নিরুত্তর বসে বসে দেখি।
তখন আমি বড় একা,কাঙালের মতো একা,
অসীম দীর্ঘশ্বাসে আরও দীর্ঘ করি
গল্পের অনন্ত নহর,,,,