ভারতের কবি স্বর্গত মিত্র এর লেখা “কবিরাজি ”

474
স্বর্গত-মিত্র-এর-লেখা-কবিরাজি
প্রতিভা সন্ধান কাব্য পরিষদে আজকের ( ৪/০৯/১৯ ইং) কবিতাগুলোর মাঝে সেরাদের সেরা নির্বাচিত হয়।

কবিরাজি

স্বর্গত মিত্র

আরে এই নন্টে! কিসে এত ধুঁকছিস?
শুনলাম তুই নাকি অরুচিতে ভুগছিস৷
কয় দিন এ’রকম? বলবিতো একবার,
এই রোগ সারতে কি পারে কোন ডাক্তার?
খুলে সব বল দেখি, শুনি আগে লক্ষণ;
কোনটা রোচে না মুখে, কি করিস ভক্ষণ?
জিহ্বায় জল আসে পেলে টোকো আঁচটি?
তেতো খেলে মুখে ভাসে বাংলার পাঁচটি?
যে দিকেই যাস তুই সামনে কি পিছনে,
পিঠ থাকে সদা পিছে? মুন্ডুটা সামনে?
জোরে জোরে ছুটলে কি ঘন বয় নিশ্বাস?
অবিরাম ঝরে ঘাম, প্রাণ করে হাঁসফাঁস?
পেট পুরে জল খেলে মেটে কি রে তেষ্টা?
কাঁচা ঘুম ভাঙালে কি থেকে যায় রেশটা?
দুম করে বাজ প’লে নয় জোরে পটকা;
পিলে যায় চমকে? বুকে লাগে ঝটকা?
লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুলে তুই টান টান,
শিথানে কি যায় মাথা? পা দু’টো পৈতান?
ঘুম পেলে চোখ দু’টো হয়ে আসে বন্ধ?
ধরেছে কঠিন ব্যামো নেই কোন সন্দ৷

লেখ ক’টা উপাদান শুনে খুব মন দে,
অবহেলা করবি কি কাটাবি নে সন্ধ্যে৷
স্বর্ণলতাটা খুঁজে পাতা আন চারটি,
জোঁকের চামড়া ছুলে পাঁজরের হাড়টি,
মোটা-তাজা চিংড়ির কয় ফোটা রক্ত,
গোটা দুই বাঁশফল অতি পাকা-পোক্ত৷
সব শেষে আনবি তিন মালা ভরপূর-
ভাদ্দুরে দুপুরের পিঠপোড়া রোদ্দুর৷
মিকচার করে দেব নেই কোন চিন্তা,
হাঁটু মুড়ে তবলা বাজা ধিন ধিন তা৷
নয় ওটা টক-তেতো, নেই কোন গন্ধ;
টাকরায় ফেলে দিবি চোখ করে বন্ধ৷
নিষেধের বাধা নেই, নেই মানা খাদ্যে;
পেট পুরে সব খাস পারবি যা সাধ্যে৷
শুধু যেন ভুল করে চিটেগুড় খাস নে,
গার্ডারের প্যান্ট পরে মামাবাড়ি যাস নে৷
ঘুমোবি নে অসময় দেউড়িতে হাঁ করে,
মেনে চল কিছু কাল পড়বি নে ফাঁপরে৷
যাই তবে দেখব গে প্যানারাম সাউ কে,
ওষুধের কথা যেন বলবি নে কাউ কে৷

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here