“ ভাগাড়ে পরে থাকে অর্বাচিন জীবন ”
নাসরিন আক্তার
জীবন কি মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমায়?
মেঘ কি ধবধবে পেজা তুলো ?
নাকি আবৃত বাঁশের কেরুল ?
মেঘের গায়েও কি কাঁটা থাকে ?
চলার পথেও কি থাকে উচুুনিচু খন্দক ?
মেঘের পানসীতে চেপে আকাশ দৌড়ায়
কঠিন মাটিতে পরে থাকে অর্বাচিন জীবন।
সেই জীবনে থাকে উই পোঁকার ডিবির মত সুখ- দুঃখের ছোট বড় ডিবি ।
বাড়তি লোক মানেই বাড়তি ফর্দ
বাড়তি ফর্দ মানেই অবাঞ্চিত বাত-বিতান্তা।
হু হু করে বাড়ে চাল -ডাল -তেল -নুনের দাম
শুধু দিনদিন কমে যাচ্ছে মানুষের দাম,
সংসারের কাছে, সমাজের কাছে,
এমনকি জীবনের কাছেও।
এখানে জীবন ক্রমেই ভারবাহী হয়ে ওঠে।
নিজের কাছেই জিঙ্গাসা!
জীবনের কাছে চাইবার আর কিই বা আছে?
আছে কি কিছু পাওয়ার?
সেই সকালে দু’টো শুকনো রুটি চা’য়ে ঢুবিয়ে অফিসে ছোটা,
বড় সাহেবের ধমক, নত মাথায় ঘাম ঝরানো
বাসার উদ্দেশে লোকাল বাসে লম্বা লাইন,
নিত্য মোড়ের মুদির দোকানে প্রয়োজনিয় কেনাকাটা ।
সংসারের প্রয়োজন, ছেলেমেয়ের বায়না, স্ত্রীর সাতকাহন।
অতঃপর কোন রাতে জৈবিক তারনায় রতিক্রিয়া,
কোন রাতে পরস্পর মুখ-বিমুখ ।
অন্ধকার আরো গাঢ় হয়
ফুতপাতে বাড়ে ছিন্নমূলের ভিড়,
ভারবাহি জীবনের রাত দীর্ঘায়িত হয়।
স্বপ্নরা আঁধারে ঘুরপাক খায়
ছেঁড়া মলিন কাপড়ের মতো আলনার এক কোনে ঝুলে থাকে অর্বাচিন জীবন।