ধ্রুবতারা
হামিদা বানু
সে ছিল রংধনু যার সাত রং বর্নছটা
আকাশের মস্ত প্রানে মেঘ হয়ে মস্ত ছোটা।
বাগানের দীপ্ত প্রানে,সুরভিত ছন্দে দোদুল
যে দিকে চলত পথে,প্রিয় রং গন্ধে আকুল।
বুদ্ধির শান্ত চোখে জ্ঞান তার উঠত ফুটে
সে জ্ঞানের গভীরতায় বুদ্ধিরা হেসেই ওঠে।
কবিতার ছন্দ মাঝে মাত্রা ঘুমায় যেমন
স্বর আর ব্যাঞ্জনেতে মন তার বৃত্তে যতন।
সেখানে ভোরের শিশির বিনীত শুদ্ধ যত
বাগানের দোঁয়াশ দানে স্থিতি তার মৌনব্রত
শোভিত ধানের দোলা সব্জির সবুজ প্রানে
সুর ছিল বাশঁরিয়া বেজে যেত মুগ্ধ গুনে।
সেই লয় করল ঋণী বকুলের ইতিহাসে
ঝরে যাওয়া পর্নমোচী তাতে কার কি, বা, আসে।
মেঘেরা হঠাৎ কেমন একসাথে পড়ল ঝ’রে
বর্ষার এমন দাপট ভাসিয়ে কাঁদলো ভোরে।
ইতিহাস দ্রাঘিমা জুড়ে বিদ্যুৎ চমকে ওঠে
সময়ের কঠিন স্রোতে সে বাঁশি ঘুরছে মাঠে।
সাঁঝবেলা আকাশ পারে জেগে ওঠে ধ্রুব তারা
জীবনের উল্টো স্রোতে মৃত্যুর স্নিগ্ধ ধারা।।