নিষিদ্ধ ডাহুকী
মাশরুরা লাকী
অনন্ত বর্ষার যৌবন ঘুমাচ্ছিল শামুক খোলসে
সন্ধ্যার বন্ধ্যাত্ব কেড়ে নিলো শালুকের শৈল্পিক হাসি
অসভ্য প্রণয়ে আমি তখন সম্পূর্ণ নারী
কিংবা বলতে পারো স্বয়ং প্রকৃতি।
রাতজাগা কুকুর একাকী ব্যস্ত উন্মাদ স্বপ্নে
যেন ডাকসু কে পাহারারত ঘুমন্ত স্ফিংস।
অবহেলায় পড়ে থাকা একটুকরো সিরামিক
তুলে দিতে চেয়েছিলাম সিনড্রেলা’র বিউটিবক্সে।
লাজুক শিশুটির পাকস্থলীতে ক্ষুধার রাজ্য
হাতে রজনীগন্ধা-
মূল্য দশ টাকা মাত্র!
একদল তরুণী ব্যস্ত পাশ্চাত্যের পিণ্ডী চটকাতে
ঠিক তোমাদের লেখা উত্তরাধুনিক কবিতার মত।
আমি তখন ফুচকা হাতে অসমাপ্ত বালিকা
গোধূলি আড়াল করা শতবর্ষী বৃক্ষের নিচে-
সন্ধ্যাকালীন যুগলবন্দী প্রেমে বিভোর শহুরে বিষবৃক্ষ
মাধ্যাকর্ষণ কৃষ্ণগহ্বর উত্তাপে নেশার লাটিম।
নিষিদ্ধ মাস্তুল বেয়ে শিশির বইছিলো নিস্তব্ধ মোহনায়।।