বিষন্নতায় জেগে উঠে পাপ
এক বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই দেখি
ঘরের দোচালার উপর একফালি কড়া রোদ
ঝুলন্ত টবে কে জানি কবর দিয়েছে আজন্মের
লালিত ঘুঙুর বোধ!
বিষন্নতায় জেগে উঠে এক এক করে সব পাপ
কে জানে অন্ধকার আর কতো দীঘল হবে
কে মুছে দিয়ে যাবে সূর্য দীঘল বাড়ির অভিশাপ?
ভুত-প্রেতে আমার তেমন আস্থা-অনাস্থা নেই
টাকি মাছের ভর্তা, জালি কুমড়োর ভাজি বড়ো
শখ..মাঝে-মধ্যে আনমনে খুঁটাখুঁটি করি নখ
অফমুডে ভাবি মাস শেষে….
বরাবর আমার ঘুরপাক কেন সেই একই ইতিবৃত্ত
তবে কি আমি-ই এই গ্রহের সবচেয়ে বড় দুর্বৃত্ত?
জলকাক
একদিন হোঁচট খেলেই কবিতার কথা মনে হতো
তখন শব্দের দাঁড় বেয়ে নেমে আসতো জলকাক
সেদিন বেবাকের মতোন আমিও হতাম হতবাক..!
আর এখন ঢেঁকুর উঠলেই চাঁদ গিলে খাই
পরবাসী নক্ষত্রগুলো গ্যালাক্সির দিকে চকিত তাকায়
কোথায় দেবদাস….?
আর কোথায় পার্বতী…?
অন্ধকারের চৌহদ্দিতে ঢুকলে সবাই বেদব্যাস!
দাঁত, আঁতাত এবং পোকা
দাঁত আছে বলেই অভিধানে আঁতাত শব্দটি আছে
শব্দের ভেতরে আরও কিছু শব্দাবলি আঁকড়ে আছে
ওরা কোথাও জিরোয় না..পরমাণুর মতোন ঘুরে!
ঘুরতে ঘুরতে এক সময় ঝুলে থাকে কাঁটাতারে
দাঁত থাকলে দাঁতে পোকা হয়…, হতেই পারে
তখন দাঁত লালন করার মতোন পোকাও পালন করে!
অতঃপর সাদাসিধা গল্পটি চমকপ্রদ কাহিনী হয়
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম কাঁহাতক মাতামাতি হয়
কেবল নৈঝতে পড়ে থাকে কবিতার কংকাল
কেউ একজন চেঁচিয়ে বলে, তোমরা আকাশ-পাতাল
সবকিছু বুঝো… কেবল বুঝো না লংকার ঝাল
তদুপরি এখন দুনিয়া জুড়ে বেবুঝ করোনা কাল..!!
মৃত আগ্নেয়গিরির রুপ
আগ্নেয়গিরি মরে গেলে সেখানে ঘাস হয়
সেই ঘাসে ডাল-পালা, ফুল-ফল তাও হয়
রঙের ছাই পারফিউম
যে বৃক্ষের শেকড় নেই.. সেই বৃক্ষে মুরগি
দিবে কতোদিন ওম..?
খোলস ছেড়ে যে সাপ মুক্ত হাওয়ায় ওড়ে
ওড়তে ওড়তে দ্যাখে কোনো এক ভোরে
খোলস থেকে নয় সে খুব বেশি একটা দূরে!
একদিন দৈবাৎ জেগে উঠে মৃত আগ্নেয়গিরির
পুরাতন রুপ…. তখন পুরনো গর্তের ভেতর
থেকে সাপও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে, বহুৎ খুউব…
বহুত খুউব….!!