প্রিয় ঈশ্বরদী আটঘরিয়াবাসী,
পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা। এ বছর ঈদের ঠিক আগে আমরা বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এলাকার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ভয়াবহতা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। তারপরও জনগণের অদম্য ঈদ আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় নিয়ে সরকার একদিকে গনটিকা শুরু করেছে একইসাথে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। এরপরই আসছে সর্বোচ্চ কঠোর লকডাউন। দেশের সকল শিল্পকারখানা এই প্রথম বন্ধ থাকবে।
এমতাবস্থায় পবিত্র ঈদ উৎসবকে ঘিরে জনসমাগম, গণচলাচলের কারণে সংক্রমণের হার আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বিষয়টি স্মরণে রেখে ঈদ উদযাপন করতে হবে। ঈদে যে যেখানেই থাকুক পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রবনতা এদেশের পলিমাটির সন্তানদের কাছে অন্যরকম অনুভূতি। তারপরেও আমাদের মনে রাখতে হবে, চলমান বৈশ্বিক মহামারীর ভয়াবতার কথা। আমরা আমাদের অবাধ্য অবেগের কারণে প্রিয় স্বজনদের যেনো ঝুঁকিতে ফেলে না দেই বরং আমরা যে যেখানে আছি সেখানেই সীমিতভাবে ঈদ করাই হবে আজকের নাগরিক কর্তব্য।
এতদিন দেশের গ্রামাঞ্চল আক্রান্ত না হলেও বর্তমান গ্রামের জন্য ভয়াবহতা রূপ নিচ্ছে। দেশের বাস্তবতায় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে স্মরণযোগ্য উন্নয়ন হলেও চিকিৎসা সুযোগের এখনো সার্বজনীন প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়নি
উৎসব সীমিত পরিসরে পারিবারিক ভাবে করলে ভালো হবে! অত্যাবশকীয় জিনিস ছাড়া কোনো কিছু কেনাকাটা থেকে বিরত থাকাই উত্তম! আসুন,
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কথায় নয়, বিবেক দ্বারা শাসিত হই। আইনের উৎস যেহেতু সাধারণ জ্ঞান। আজকের বাস্তবতায় যেটা প্রয়োজন, সেটাকেই আইন বিবেচনা করতে হবে এবং বিবেকচালিত আইনের সুদক্ষ প্রয়োগই কেবল রক্ষা করতে পারে আমাদের আগামী প্রজন্মকে। তৈরি করতে পারে এক শান্তিময় এলাকা, শান্তিময় পৃথিবী শান্তিময় স্বদেশ। বেঁচে থাকলে, জীবনে আবার ঈদ আসতে পারে কিন্তু অসতর্কতার জন্য এটাই যেনো আমাদের জীবনের শেষ ঈদ না হয়। আসুন, আমরা প্রমাণ করি, প্রতিযোগিতার পৃথিবীতে জ্ঞান এবং সভ্যতার অনুশীলনের দ্বারা টিকে থাকার জন্য আমরাও তৈরি হচ্ছি।
শুভেচ্ছা সহ
পাঞ্জাব বিশ্বাস