খোলা চোখ
-শিখা গুহ রায়
এখনও চোখ খুলে রেখেছি
নিজের তাগিদে
হয়তো কিছু পথ যেতেই
আলোটা নিভে যাবে
নিভে যেতে পারে সব অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যত।
কাঁটার মাঝেও হাসে গোলাপ
কেউ বা নিচ্ছে তুলে সার্থসিদ্ধির লোভে
আবার কেউ নিস্প্রয়োজনে।
পদদলিত ঘাসের অবসাদে
ভূতগ্রস্থ মাঠ
ওদিকে রেফারি মন
সুখের ঢোল বাজায়।
এই চোখ-মুখ স্তব্ধতার
কালো মেঘে ডেকে যায়
উড়ান ডানায়
যেন ভাঙাচোরা ঠেলাগাড়ি চলছে তো চলছে।
এ আমার ছোঁয়াচে ব্যাধি
তবুও ভয় করি না
সস্তার বাজারে ধর্মকুটুম।
পেটে বর্ণ নেই, রঙ্গিন কাঁচ নেই
কিন্তু বিজ্ঞান-তো ছিলো,
যদিও এগুলো বিমান যুগের বাইসাইকেল।
তবুও চৈত্র কেটে যাবে
কেটে যাবে বৈশাখ
আর আমার গা ভিজিয়ে
অগ্রহায়ণ ঘরে উঠবে কোন একদিন।
দেখে নিও তুমি
সময় ঘুরবে সময়ের নিয়মে
শুধু তুমি আমি থাকবো না থাকতে পারবো না।
-নীলচাষ
শিখা গুহ রায়
উত্তপ্ত শহর ঘামছে শরীর
একটু শান্তির ছোঁয়ায় গাছের নিচে
বসে শুয়ে দিন রাত…..
তবুও শান্তি নেই,অশান্ত মনে।
এ-এক অদ্ভুত দৃশ্য
অদৃশ্য ছায়া সরাতেই
উঠে এলো যেন্ত কঙ্কাল
মৃত্যু হলো উদীয়মান শিশুসূর্য।
এই লজ্জা থেকে
মুখ লুকানোর কাপড়ও
ময়লায় জরাজীর্ণ
নিশ্বাসেও ঢুকে পড়ছে
কালো-কালো বরফের চাঁই।
কী হবে আর মানচিত্র এঁকে
খাতা-কলমে
ডিগ্রী যতই থাক
প্রথমেই শিখে নিতে হবে নীলচাষ।
সেই পলাশীর পর থেকে
আজ অবধি ফলেনি
সোনালি রোদে
সবুজ শস্য-সুফলা।