বলো- আমরা কি হেরে যাবো?”
রোজিনা রুমি
স্বাধীনতার পর একটা রুপালী রাতের জন্য তুমি আমি রাজপথে কত মৌন মিছিল করেছি,
শ্লোগানে শ্লোগানে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে আমাদের অতন্দ্র চাহনি,
কতবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা মাথা পেতে নিবো বলে আত্নসমর্পন করেছি নিষ্ঠুর নিয়মের কাছে।
আমাদের চাওয়াগুলো পরিযায়ীর ছায়া হয়ে গুমরে গুমরে কেঁদে ফিরেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।
সুনির্দিষ্ট বুকের জমিতে পেতে রাখা একটা আশ্রয়ের জন্য একশো চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙ্গে দ্রোহিতার অপবাদ নিতেও পিছপা হইনি এক জনমে।
রাষ্ট্রের সংবিধানের ধারা বদলে আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।
আমার আজন্ম চাওয়াটা একান্ত করে পাওয়ার নিমিত্তে আমি যে মরিয়া আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এ দাবী প্রতিষ্টা করতে চাই।
তোমার লিখিত ছাপা অক্ষরের নিয়ম ডিটারজেন্টের পানিতে ধুয়ে আবার নতুন করে কার্বনের কালিতে লিখে যেতে চাই—– আমি, আমরা এবং ইতিহাসে স্মরণীয় প্রেমিক যুগলের জন্য।
অবিচল–ভালোবাসাময় অথচ খুন হওয়া দুটি আত্নার সমাধি প্রান্তরে মর্যাদাপ্রাপ্তির দাবী নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিকী শহিদ মিনারও এহেন নিষ্ঠুর নিয়মে নির্বাক।
ইতিহাস এর বিবর্তন চায়। বিবর্তন চাই আমি, আমরা।
আমরা দুজন।
প্রিয়তম,
পথের দাবীতে আমি কি রাজপথে আবার তোমার মুষ্টিবদ্ধ হাত ধরে
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হবোনা?
পিছনে ব্যানার আর প্লেকার্ড নিয়ে আমরণ অনশনে দিনক্ষন পার করে দেওয়া সে সব বিদ্রোহের সময়গুলিতে আমার চোখে চোখ রেখে তৃষ্ণার্থ হ্নদয়ের তৃষ্ণা মিটানোর মূহুর্ত কি ফিরে পাবোনা?
প্রিয়তম,
বলো — আমরা কি হেরে যাবো?
একটা সুর্নিদিষ্ট পথের দাবীতে আমি কি রাজপথে আবার তোমার মুষ্টিবদ্ধ হাত ধরে তোমাকে আমার করে পাওয়ার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হবোনা?