সেই গল্পটার উপসংহার
নাছরিন আক্তার
সেই গল্পটার উপসংহারে কি ছিলো , শোনো
পাহাড় আর মেঘ দুজনার এখন মধ্য বয়স
সিঁথির দুপাশের চুলে পাক ধরেছে
এখন তাদের ভরা সংসার ,
বুকের চিলেকোঠায় দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে
ঠোঁটের কোনে ঝুলিয়ে রাখে একটুকরো হাসি। ।
ভালোবাসা হারালে নারী হয়ে উঠে পাথর , আর পুরুষরা কাঠ কয়লা।
মেঘ সোনালী রোদ গায়ে মেখে
বিষণ্ণ চুল উড়িয়ে ভেসে যায় দূরে। পাহাড়, উর্ধ্ব মুখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে আর ভাবে
একটু বসে গেলে কি’বা এমন ক্ষতি!
পাহাড়ের খুব জানতে ইচ্ছে করে,
এখনো বুকে কতটুকু কান্না লুকিয়ে রেখেছে মেঘ।
আর কতটুকু কাঁদলে সে শরতের আকাশের মত বর্ণিল হয়ে উঠবে।
মেঘেরও খুব ইচ্ছে করে নতমুখে ছুঁয়ে দিতে পাহাড়টাকে
দেখতে ইচ্ছে করে পাহাড়ের বুকে কতটা কষ্ট হিম হয়ে জমে আছে !
মেঘের ভয় নিজেকেই ,
কাছে গেলে যদি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে পাহাড়ের বুকে !
অসময়ের বৃষ্টিতে জলোচ্ছ্বাসের ভয় সেই জলোচ্ছ্বাস যদি ভেসে যায় সব!
(কবি পূর্ণেন্দু পত্রী’র ” সেই গল্পটা ” কবিতা থেকে অণুপ্রানিত হয়ে লেখা।)