চাক্ষুষ
সোনালি মণ্ডল আইচ
নিঃশব্দে তার পাশে পাশে হেঁটে চলেছি,পথপ্রদর্শক
আমারই প্রয়োজনে,ঘটনাচক্রে আলাপ
ভদ্রলোক প্রথম পরিচয়ের অস্বস্তি কাটাতে
বোধহয় কিছুটা অযাচিতভাবেই
নিজের জীবনের খুঁটিনাটির ঝাঁপি খুললেন
কানে ঢুকলেও বেশিটাই মগজ পর্যন্ত পৌঁছলো না!
আমি তখন চারপাশে সবুজের সুরময়তা উপভোগে ব্যস্ত
ভাবছি, ” নারীও প্রকৃতি–ইত্যাদি ইত্যাদি–“
পুঁথির বাঘ ছুঁয়ে দেখতে আপত্তি করেনা কেউ,
আর বনে তার লেজ দেখলেই প্রানপন দৌড়…
বনবিভাগের কর্মীরা অরণ্যের ভয়ংকর ও সুন্দর
দুই সত্ত্বায় অভ্যস্ত… কীটপতঙ্গ সরীসৃপের উপদ্রব,
বাংলোর সবুজে-ছাওয়া কর্দমাক্ত মেঠো পথ
কবিদের কলমে অনন্যসুন্দর হলেও,
হাঁটতে গেলে বড়ই পিচ্ছিল,
তবে পড়ে যাওয়াও চলবেনা,
কারণ এখানে হাসপাতালের চেয়ে
স্বর্গে পৌঁছনোর রাস্তাটিও কম দুর্গম!
সোঁদা মাটির গন্ধটা খুব সহজলভ্য,
আটপৌরে, তাই আর রোমাঞ্চিত হয়না কেউ…
ফেরার দিন শেষ দেখা, এবার আমিই মুখরা,
তার স্মিত কৌতুক হাসিতে আবিষ্কার করলাম
এক অদ্ভুত সংবেদনশীল স্বচ্ছ হৃদয়,
সত্যিই জীবনের ভূগোল দারুণ গোলমেলে-
জঙ্গল-সাফারির মানচিত্রে একজন মানুষ
দেখা যাবে, এমন কোথাও লেখা ছিল না তো !!