অমানিশার গল্প
শাহনা রহমান
একটা গল্প বলি ,ঘোর অমানিশার গল্প…
সেদিন সন্ধ্যাবেলায় মেয়েটির জীবনে
শীতল কঠিন অন্ধকার নেমে এসেছিলো।
শ্বাপদের বিষাক্ত আলিঙ্গনে চুরমার হয়েছিল
ওর পৃথিবী…
মুহূর্তেই সমস্ত পৃথিবী কেঁপে উঠেছিলো থরথর করে
অসুরের সাথে যুদ্ধ হলো তার…যুদ্ধ…. যুদ্ধ… যুদ্ধ….
পরাজিত হলো মেয়েটি….
দানবের ল্যাহানরত জিহ্বা একে একে
ছুঁয়ে গেলো ওর অধর বুক আর নাভিমূল….
উহ…কি বীভৎস …কি বীভৎস
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো লালা ঝরছিলো দানবের মুখ থেকে
তারপর মেয়েটির শ্রান্ত দেহখানি অন্ধকূপে ডুবে
যেতে যেতে টের পেলো
তার নব বসন্তে সদ্য ফোটা ফুলগুলো দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে….
মেয়েটি চিৎকার করে ডেকেছিলো তার ঈশ্বরকে
“হায় ঈশ্বর…. রক্ষা করো…
রক্ষা করো আমায় …এই বিভৎস হায়নার হাত থেকে !
সেদিন সব শুনেছিলো …সব দেখেছিলো তার অন্ধ ঈশ্বর.,
মেয়েটির চিৎকার একটুও টলাতে পারেনি তাঁকে…
মেয়েটি বুঝলো কোনো ক্ষমতা নেই
ঐ ঈশ্বর নামের অদৃশ্য শক্তির….
যা করার করতে হবে তাকেই
দাঁতে দাঁত চেপে তার মাড়িয়ে দেয়া বাগানের
দিকে চেয়ে রইলো খানিক্ষণ নিস্বের মতো মেয়েটি..
মেয়েটি জানে না,
ঐ সন্ধ্যায় চাঁদের স্বপ্ন ধুয়ে গিয়েছিলো কিনা ..
সুক তারার চোখে জল ঝরেছিলো কিনা
কিংবা রাতের বাতাস থমকে গিয়েছিলো কিনা ….
মেয়েটি শুধু যানে,তাকে পালাতে হবে …
তাকে বাঁচতে হবে…
তাকে কোন ভাবেই পরাজিত হলে চলবে না…
তারপর স্পীডোমিটারের মতো সে দ্রুত
ধ্বংসস্তুপের মধ্যে মৃত্যুকে হত্যা করে
বেড়িয়ে এলো নিঃশব্দে।