পরম প্রিয়ের অন্তিম যাত্রা
“”””””””””””””””””””””
এম,সাফায়েত হোসেন
ঘুম ভাঙ্গা শহরের আড়মোড়া সুখ লভে
নিশিকাব্যের ঝলমলে অধ্যায় শেষে,
কত অজানা চিত্রকল্প আঁকে, নিকষ রাতের কৃষ্ণ প্রচ্ছদে,
কত অপাঠ্য গল্পফানুস বাতাস দমে ওড়ে রাতের আকাশে।
বারোয়ারি বারোমাসি ভালবাসা বিকোয়
আড়তের মজুদ পণ্যের মতো সুলভ দামে,
যৌবনের হাট নিলাম ওঠে নামে বেনামে।
তখন জলসা ঘরের ঝাড়বাতি গুলো নিভে যায় অগোচরে
শরাব-সাকির পানপাত্র পড়ে রয় যেখানে সেখানে
জমিদারবাড়ির অন্দরমহলে সুনসান ভৌতিক নীরবতা নামে।
ঘুম না পড়া ঘুমে অসাড় দেহ এলিয়ে নান্দনিক শুয়ে থাকে
জীবনের মানে খুঁজে ব্যর্থ বেদনায়,আত্মাভিমানে মুখ থুবড়ে পড়ে,
যেন ঝড়ের লাজে মরু জাহাজ মুখ গুজে বালুর মাঝে
তেমনি রূপ -রস-গন্ধের বর্ণালি সুখ দু’পায়ে ঠেলে
সব কিছু ফেলে প্রস্থানের রাগিণী উঠে বেজে।
,
ঘুমের আবেশ ঢেকে রাখে কাশফুল বসন, শাসন অনুশাসন পেঁজা তুলো বকসাদা মেঘের ভেলায় উড়ে,
পরম মমতায় কিছু তুলো আতর-লোবান সিক্ত হয়ে
নাসিকা কর্ণের ছিদ্র ঢাকে অনন্ত আদরে।
ধুয়ে মুছে পরিপাটি সেজেগুজে রয়
মসজিদের কোনায় পড়ে থাকা পাল্কিটা,
নগরীর পাইথন সড়কে তখন জনস্রোত নামে
পরম প্রিয়ার আজ হবে অন্তিম যাত্রা।