৩২ নম্বরের বাড়ি
নাসরীণ জাহান রীণা
সেদিন খুন লেগেছিলো
লাল শোণিতে লেখা হয়েছিলো
কালো ইতিহাস !
বুলেট দিয়ে রচনা করলো
কালো পোশাকিরা কলঙ্কিত অধ্যায়।
৩২ নম্বর বাড়ির দেয়াল
আজো সাক্ষ্য বহন করে
কুচক্রিদের হোলিখেলার।
তাজা ১৭ টি প্রাণ লুটেছিল
খাকি পোশাকিদের পদতলে।
জাতীর পিতার অঙ্গুলি সেদিনও উঁচিয়েই রেখেছিলো ; বুক ফুলিয়েই রেখেছিলো।
আজো আছে
থাকবেও ততোদিন ; বাংলা যতোদিন।
সেদিন বলেছিলেন অসহায় হয়ে
ওরে, ” তোরা কিছু কর ”
সাহায্যে যেবা এসেছে
নেমেছে মৃত্যুর ঢল।
মন গললো না ঘাতকদের
এঘরে-ওঘরে শবের মিছিল !
১০ বছরের অবুঝ রাসেলের
মৃত্যুভয়ও দুর্বৃত্তদের হৃদয়ে
কড়া নাড়লো না !
মায়ের কাছে নিবে বলে
শিশুর সাথেও মিথ্যাচার
তারপর নিস্তব্ধ করে দিলো !
দেয়ালের পেটে বুলেট
কালের সাক্ষ্যি হয়ে রইলো।
তাজা প্রাণগুলোর আকুতি পৌঁছলোই না যমদূতদের কর্ণকুহরে।
সাদা পাঞ্জাবি রঞ্জিত হলো লালে
চশমার ভাঙা কাঁচ মেঝেতে বিছালো ফুল গালিচা।
না, মুজিব তুমি মরোনি তবু কোন কালে
তুমি আছো প্রতিটি বাঙালির মনের মণিকোঠায় সদা ভাস্বর চিরকালে ।
৩২ নম্বরের নির্জন-নিস্তব্ধ বাড়িটি
চিরকালই সে কথা বলে