ভারত থেকে কলমযোদ্ধা-নিমাই জানার ভিন্ন মাত্রার দীর্ঘ কবিতা “একটি √৫সংখ্যার বর্গমুল ও খালি চোখের মৃত্যু”

294
নিমাই জানার ভিন্ন মাত্রার দীর্ঘ কবিতা “একটি √৫ সংখ্যার বর্গমুল ও খালি চোখের মৃত্যু”

একটি √৫ সংখ্যার বর্গমুল ও খালি চোখের মৃত্যু
নিমাই জানা

মৈথুনরত রক্ত কণিকার ভেতর আমি বাবার ত্রিভুজ শরীরে আপাদমস্তক কিছু অ্যানালজেসিক রেখে দিলাম
সারা ঘরময় ঘুরে বেড়ায় প্রশ্নচিহ্নের সহবাস ও দ্রাঘিমা হিমঘর , আরও কতবার দেখেছি বেলপাতাকে জিভে নিয়ে চতুষ্পদী প্রাণীরাই আমাকে একটি মৃত নক্ষত্রের মতো স্নান করিয়ে যায় , ঘোড়াটির আবার অব্যয় পদের মতো কোন সব পরাগ ক্ষেত্র নেই বলে আমাকেও একটি নক্ষত্র যুক্ত জামা পরিয়ে চলে অশরীরী সরু সরু হাতের আঙুলগুলো
এক মহা ধমনীর কবিতা পড়ে যায় কোন রজঃস্রাবের পুরোহিত, একদিন অথবা দুই দিন অন্তর ঠোঁটের তলায় রেখে যাবে ভ্যালিয়াম আর সকলেই লাইসোজোম খেতে অভ্যস্ত হওয়ার পর আত্মহত্যা বিষয়ক পুরুষটিকে ডেকে বলবেন রাত্রিকালীন নির্ভরতার কথা
আমরা √ ৫ সংখ্যাটিকে বড় ভয় পাই আজকাল

আজ মধ্যরাতের পর ওয়েবপেজের প্রতিটি পৃষ্ঠা জুড়ে তিনি একাই হেঁটে বেড়িয়েছেন
একা নয় , মৃত্যুকে সাথে নিয়ে
একাই বিলাবল গাইছেন খাম্বাজ গাইছেন আবার কখনও তিনি উদ্বায়ী আগুন খাচ্ছেন একটি নির্মল হলুদ বোধিবৃক্ষের নিচে শুয়ে
পুরুষটি শুয়ে পড়লেই তার অন্তর্বাস আলগা হয়ে যায়
আমার পায়ের প্রতিটি জনপদে শুয়ে আছে একেকটি ছত্রাক
জামা পালটে রাখি দোতালায় , জামার ভিতরে হলদে রঙের পিঁপড়েগুলো মৃত কর্কটরেখা আর ভয়ার্ত যৌন চিন্তা নিয়েই ঘুরে বেড়ায় সারা ঘরময়
আমার পোষাকের ভেতর এক একটি কাল্পনিক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি আছে, ঘুমের ঘোরেই কত সহবাস চিহ্ন এঁকে যায় প্রাচীন ইছামতি নারীটির কাছে

আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবি রাস্তার পাগল গুলো কত পথ পাড়ি দিল রোগাক্রান্ত শরীরে
তারা কতকাল সঙ্গম করেনি তাদের প্রতিটি লিঙ্গ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হতে হতে আরও গভীর মায়া বৃক্ষের দিকে চলে গেছে
একটি জনপদ থেকে ফিরে আসার পর দেখেছি পথ যদি সুর হারিয়ে ফেলে সে ক্রমশ প্রাচীর হয়ে যায়
প্রতিটি হাতে গজিয়ে ওঠে সামন্তরিকের পারলৌকিক ক্রিয়া একটি পুরুষ আসলে জানে না কখন সে ব্যঞ্জনবর্ণের মতো সাদা জামা পড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আমাদের গোলাপ বাগানের নিচে
শিমুলতলায় বৈরাগ্যের ফুল ঝুলে আছে আমাদের মায়ের মৃত্যুর পর
রাত্রি দুটোর পর কালো রঙের রাত্রিকে সবাই ভয় পাই , অলীক নারীদের সাথে বসে কোন একদিন শ্বাসকষ্টের ওষুধ খেয়েছিলাম

আমার পাশের বাড়ি পুলিন পিসিমা কিভাবে মৃত্যুকে হাতে নিয়ে বাইরের বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে ভেজা জল মুড়ি আর বাতাসা দিয়ে খাবে বলে
মাইটোসিস পরাগের আকাশ ভেঙে খাওয়ার পর তাদের গায়ের সব কাঠামোগুলো ইডিমাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে
মৃত্যুর উল্টোপিঠে ব্রনচিহ্নগুলি নখ দিয়ে তুলে তুলে দেখলেই দেখা যায় রক্তের ভেতর থাকা সাপকে হলুদ রঙের দেখায়
সব ধরনের সহবাসকালে ঈশ্বরীর মুখ জেগে ওঠে
আমি এক চতুর্ভুজ ঘরের কথা ভাবি এখানে একটা পুরুষকে পুড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে লজ্জাবতীর গাছ কিভাবে গজিয়ে ওঠে
একটি সম্পর্ককে ফাঁকি দিয়ে বিট রঙের মানুষেরা পাতাবাহার চারা লাগাতে চলে যায় চাঁপাতলার চতুর্পাশে
এখানে মাছেরাও বর্ষায় কিলবিল করতে করতে এক হাঁটু গভীর অরণ্যে হারিয়ে যায়
বাদল মিশ্র আর কেউ নয় সে একটা কাগজ ফুলের নাম
যে একদিন আগুন ঠোঁটে নিয়ে ব্রহ্মার স্তব করেছিল শাপগ্ৰস্ত করেছিল আমার শরীরকে
আমি সারারাত জেগে ছিলাম মৃত্যুকে খালি চোখে দেখবো বলে

জনপ্রিয় বস্ত্রালয় সামনে দাঁড়ানো সিভিক পুলিশকে দেখলেই মনে হয় অ্যামলোডিপিন আর টেলমিসারটান খাওয়ার পরও কিভাবে রক্তচাপ হুহু করে বেড়ে যায় মহাকাশের দিকে
একদিন শরীরের রক্তচাপ ছুঁয়ে ভেদ করে যাবে টরিসেলির কাঁচের থার্মোমিটার
আর সকলেই উপুড় বসে থাকবে একটি নিরালার ফল দোকানের নিচে , বিবিধ ফলের পুংকেশর গুলো ফাঁক করে দেখে নেবে ভুয়ার পলাতক সেতুটির দৈর্ঘ্য কত
ল্যাটেরাইট ঘাট থেকে যে এক বুক খোলা পাঞ্জাবি পড়ে যৌন ক্রিয়ায় মেতে উঠবে সে আমার নিজস্ব নারী নয়
তাকে দেওয়ালে টাঙ্গাই , সে আমার সাথে কতবার তুলসী বৃক্ষ অথবা শঙ্খচূড়ের গল্প করে যায় হাড়ভাঙ্গা পাতা দিয়ে
মাঝে মাঝে গন্তব্যে গিয়েও আমি ভুলে যাই সঠিক গন্তব্যের স্থানাঙ্ক কতোগুলো থাকতে পারে
প্রয়োজনহীন একটি ব্রয়লার সেন্টারের পাশে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি আমার নিজের নাম অথবা আমার পাসওয়ার্ড
আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ইনবক্সে থাকা নারীদের পায়ের আঙুলগুলো ভেঙে ফেলি

সহস্র চেরিগোল্ডের মালা আর সুগন্ধি ধূপের পর যে আগ্নেয় কালো রঙয়ের যান্ত্রিক গাড়িটি নিয়ে এসেছিল এক কিন্নরকণ্ঠী নারীকে আমি তার কণ্ঠের পাশে বসে বসে শুনেছি একটি মানুষ কঠিন বিরহ পেলেই বিরহের শরীরকে তেল ও সাবান দিয়ে মাখিয়ে স্নান করিয়ে দিতে হয়
তারপর ১৯ দিন পর ভ্যানিশ করে দিতে ৫৩ সেকেন্ড সময় লাগে মাত্র
আমি আগুনের কাছে ২ঘন্টা ২২ সেকেন্ড বসার পর ভেবে দেখেছি শরীরের ভেতরে যে লালাভ ক্ষতস্থান গুলো আছে তারা ক্রমশ শিথিল হয়ে ওঠে
কিভাবে বেদান্ত পড়ে যাচ্ছেন আমার প্রিয় বাঁশিওয়ালা নারী
যে ৫০ লক্ষ কোটি যোজন দূরে থেকেও আমাকে একটি তরঙ্গ পাঠিয়ে যায়, আমি তার অর্ধনিমিলিত চোখে ব্রহ্মাণ্ড দেখে ফেলি তিনি মীরা হয়ে বসে আছেন একটি পাথরের উপর আর , আমি কেবল ভিজে যাচ্ছি সালফার ও ভৌতিক পারদ গুঁড়ো মেখে
আমাকে বৈষ্ণবীয় তিলক এঁকে দিয়েছেন আমার হলুদ কপালের ওপর , আমরা সকলেই রাত্রিকালীন দিবাকর রোডের দিকে চলে গেলাম বৈপরীত্য আগুন মেখে
আগুন দেখে ফেলার পর আমাদের আর ঘুম আসে না
জিরাফের পিঠে ঘুম সারা ঘরময় মৃত কঙ্কাল হয়ে ঘুরে বেড়ায় আমরা তার নাগাল পাই না কখনো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here