ঈদুজ্জোহা
————সেক জাহেদ উল্লা
চোখটা ছিল ঠিক চলন্ত ফ্যানটার দিকে –
ফ্যানের কিচ-কিচের সাথে স্টোভের শোঁ শোঁ –
শব্দ আসছিল কানে ।
রাস্তার ওপর দিয়ে মাঝে মাঝে হড়বড় শব্দ করে –
গুটিকয় রিকশা চলে গেল মনে হয় –
রান্না চাপিয়েছি ও ঘরে ।
নাকে আসছে মাংসের সুগন্ধ , সবে নামানো উনুন থেকে –
সেই গ্রামের মজা পুকুরের পাশে রান্নাঘর থেকে –
তাকিয়েই রয়েছি ঠিক ফ্যানটার দিকে ।
বেশ দেখতে পাচ্ছি , ওদের সবাইকে –
মুখে হাসি নিয়ে ফিরছে ঈদগাহ থেকে , নতুন পোশাকে –
কোলাকুলি , সুরমা আতরের ছড়াছড়ি ।
মা যেন ডাকছে আমায় –“কোথাও বেরোস না , খাবি আয় “ –
দাদাজির কবরস্থানে নিজ হাতে জ্বালিয়ে দিচ্ছি , ধুপ মোমবাতি –
একমুঠো খেতে বাড়ি বাড়ি কত সাধাসাধি ।
“ও খোকা ভাত পুড়ে গেল যে “ কাজের মাসির চিৎকার –
নিজের অজান্তে হাতটা উঠে , মুছে দেয় –
গাল বেয়ে নেমে আসা দু ফোঁটা জল কে ।
ফ্যানটা যেন জোরে ঘুরতে থাকে , ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে –
তড়াক করে উঠে , ওঘরে দৌড়ে গেলাম –
সেদ্ধ আলু আর ভাতের আকর্ষণে ।।