আলোর স্বরলিপি
ড. মানসী দাস
অনেক শীত, বসন্ত পেরিয়ে
একটা বৈশাখ আসে জীবনের অধ্যায়ে |
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব চুকিয়ে
নতুন আলোর বার্তা নিয়ে |
সে আলোর পবিত্র স্পর্শে,
সব মলিনতা যায় ধুয়ে |
বৈশাখী রোদ বুকের গভীরে এসে
কড়া নেড়ে জাগিয়ে দিয়ে যায় |
বলে যায়, “যতক্ষন আলো আছে,
নিজেকে চিনে নাও রোদের আয়নায়” |
হারানো দিনের কথা নীল খামে
ভরে নিয়ে খর হাওয়ায় ভাসায়
আর সোনালী দিনের গল্প লিখে যেতে বলে ,
রোদের গন্ধ মাখা সবুজ পাতায় |
রোদেলা সময় শেষ হওয়ার আগে
তাই আলোর স্বরলিপি শিখে নিতে হয় |
আঁধারের কালো ছায়ায় যেন
ঢেকে না যায় নিজের পরিচয় |
অভিমানের নক্সীকাঁথা
ড. মানসী দাস
অতীত সুতোর গাঁথুনীতে বোনা
অভিমানের নক্সীকাঁথাটা ,
আজ বড়ো একলা, আনমনা |
চৈতি রোদের উত্তাপে সে বে-রঙিন ,
সব রঙের জৌলুস ফিকে করেছে
তার অন্তরের তীব্র দহন |
কত কথা , কত গল্প , সাজানো আছে
তার প্রতিটি পরতে পরতে ,
মজবুত সুতোয় বোনা কারুকাজে |
তবুও বিরহের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়,
বিষাদের হাওয়া লেগে
গল্পগুলো এলোমেলো হয়ে যায় |
অগোছালো নক্সীকাঁথার ভাঁজে ,
আজও অক্ষত পুরাতন প্রেম
গোপনে লুকিয়ে আছে |
তাই নতুন আলোর বৈশাখী ভোরে,
সূর্যের প্রথম কিরণের আদর মাখিয়ে
তাকে আবার গুছিয়ে রেখেছি যত্ন করে |