“একদিবসে ” কবিতাটি লিখেছেন ব্যতিক্রম পরিক্রমায় বিরল প্রতিভাধর ভারতের কবি — রত্নপ্রভাগাঙ্গুলী।

410
“একদিবসে ”
ভারতের কবি — রত্নপ্রভাগাঙ্গুলী।

একদিবসে।

                    রত্নপ্রভাগাঙ্গুলী।

*******ঝলকানি আলোতে ধাঁধানো আঁট সাঁট ,
অলি থেকে গলি ইটের পাঁজা শিরে শিরে পথ ঘাট।
কংক্রিটের রাস্তার পাশ ভিড়ে জনতার স্রোতে,
এক ধার ঘেঁষে হাটছিলাম সন্ধ্যা গলিয়ে একটু রাতে।

গ্রাম নয় শহর, ঝকঝকে টান টান
সাজের লহর,
ঝাড় পোঁছ শুন্য পাতা ইটের মিশে থাকা কিছু কাঁকর ।
ধূলির সাথে মিশে মিশে রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে,
পাশে কিছু লোক ফুঁকে বাবুরা চুরুটের ধোয়া উড়িয়ে।

আলাপচারীতায় হাঁসি টাট্টা কত গল্প গাঁথায়,
দূর থেকেই কে উঠল বলে এই ছোকরা দে তো এক কাপ ফিকে চায়।
হবে না–হবে না বাবু শেষ হয়ে গেছে,
বিদ্রুপের এক ঠোঁট চেপে যেন মুচকি হেঁসে।

তোদের দ্বারা কিচ্ছু টি হবে না,
আপনি আপনি পাবি দু এক পয়সা খানা?
এই তো কাটবে জীবন ভর এভাবেই,
হুম-কে জানে কার কেটে যাওয়া জীবন কাহিনি ।

বুঝবে কে রাত দিবসের ফারাক ,
হঠাত্ সাইরেন বাজিয়ে পথ ঘাট করে নিচ্ছে ফাঁক।
নাকেতে নল ঝুলছে সাথে সিলিন্ডার
অক্সিজেনের,
কে জানে এক টু আশা নিয়ে ছুটছে
বাঁচানো প্রাণের।

ছলাত্ ছলাত্ যেন ঢেউখেলানো ,
খেলাতো জীবন ভর শুধু পা পা তাল মিলানো ।
দৃষ্টিকোণে একে যাওয়া নকশি কাঁথা ,
কিছু সৌন্দর্যে সুখ মিলে যায় দৈবত মিলে ব্যাথা।

ছবির মতো আঁকাজোঁকা মুছে যায়
বাদল ধারায়,
নতূন ভোরাই প্রস্ফুটিত হয় রবির দিশায়।
শেষ বেলায় ঝেড়ে পোঁছে খেলাঘর গুটিয়ে বিনিদ্র স্বপনে হেঁসে হেঁসে,
সে তো হয় গল্প একটি এক দিবসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here